images

লাইফস্টাইল

শীত এলেই বাড়ে আর্থ্রাইটিসের ব্যথা, নিয়ন্ত্রণে করণীয়

লাইফস্টাইল ডেস্ক

২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:১০ পিএম

শীত যেন নূরজাহান বেগমের কাছে এক আতঙ্কের নাম। তাপমাত্রা একটু কমলেই হাঁটুর ব্যথাটা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। সেসঙ্গে কোমর ব্যথা তো আছেই। শীত এলেই অনেকেরই আর্থ্রাইটিসের ব্যথা বেড়ে যায়। হাঁটু, কোমর, আঙুল, কাঁধের জয়েন্টে দেখা দেয় শক্তভাব, ফোলা আর যন্ত্রণা। রোজকার কাজকর্ম করাই কঠিন হয়ে পড়ে তখন। 

ঠান্ডা আবহাওয়ায় দেহের রক্ত সঞ্চালন ধীর হয়। শক্ত হয়ে যায় পেশি ও লিগামেন্ট। আর এই কারণেই ব্যথা বাড়ে। কিছু নিয়ম মেনে চললে শীতেও এই ব্যথা অনেকটা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। চলুন বিস্তারিত জেনে নিই- 

winter

শরীর গরম রাখুন

শীতে শরীর গরম রাখাটা গুরুত্বপূর্ণ। ঠান্ডায় জয়েন্টের চারপাশের পেশি সঙ্কুচিত হয়। তাই পর্যাপ্ত গরম পোশাক পড়ুন। হাঁটু বা কনুইয়ের জন্য ব্যবহার করুন উল বা নিওপ্রিনের সাপোর্ট। ব্যথাযুক্ত স্থানে সকালে বা রাতে গরম সেঁক দিতে পারেন। এতে রক্তসঞ্চালন বাড়বে। কমবে শক্তভাব। হালকা গরম পানিতে গোসল করলে মিলবে আরাম। 

নিয়মিত ব্যায়াম করুন

শীত এলেই শরীরে ভর করে অলসতা। ব্যথার ভয়ে অনেকেই কমিয়ে দেন নড়াচড়া। এতে সমস্যা আরও বাড়ে। শীতকালেও নিয়মিত হালকা ব্যায়াম করতে হবে। ধীরে হাঁটা, স্ট্রেচিং বা যোগাসনের মতো ব্যায়াম করতে পারেন। ব্যায়াম করলে জয়েন্ট নমনীয় থাকে। সকালে রোদে হালকা ব্যায়াম করলে ভিটামিন ডি-ও পাওয়া যায়, যা হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।

food1

নজর দিন খাদ্যাভ্যাসে 

খাবারদাবারও এখানে বড় ভূমিকা নেয়। প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে এমন খাবার রাখুন খাদ্যতালিকায়। হলুদ, আদা, রসুনের মতো মসলা অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি হিসেবে কাজ করে। জয়েন্টের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার যেমন মাছ, আখরোট, ফ্ল্যাক্স সিড ইত্যাদি। পাশাপাশি পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি গ্রহণ হাড়কে মজবুত রাখে। অতিরিক্ত চিনি, ভাজাভুজি ও প্রসেসড খাবার এড়িয়ে চলাই ভালো।

ওজন রাখুন নিয়ন্ত্রণে 

ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখাও খুব জরুরি। অতিরিক্ত ওজন হাঁটু ও কোমরের ওপর চাপ বাড়ায়। ফলে ব্যথা তীব্র হয়। সুষম খাদ্য ও নিয়মিত ব্যায়ামের মাধ্যমে ওজন ঠিক রাখলে আর্থ্রাইটিসের উপসর্গ অনেকটাই কমে।

rest

বিশ্রাম জরুরি 

এছাড়া পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও ঘুমও প্রয়োজন। ঠান্ডায় শরীর বেশি শক্ত হয়ে যায়, তাই আরামদায়ক ভঙ্গিতে ঘুমানোর চেষ্টা করুন। প্রয়োজনে গরম কম্বল ব্যবহার করুন। 

ব্যথা খুব বেশি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ বা ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা গ্রহণ করুন। 

এনএম