লাইফস্টাইল ডেস্ক
১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:১৩ পিএম
শরীরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ লিভার। এর কোনো সমস্যা হলে তার প্রভাব পড়ে পুরো শরীরে। লিভারের সমস্যা শুরুতে তেমন একটা বোঝা যায় না। ধীরে ধীরে জানান দেয় শরীর। অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের কারণে নিঃশব্দে একটু একটু করে ক্ষতি হয় লিভারের।
কেবল মদ্যপান নয়, ফ্যাটযুক্ত খাবার, উচ্চ ক্যালোরিযুক্ত অস্বাস্থ্যকর খাবার খেলে তার প্রভাবও পড়ে লিভারে। সঠিক সময়ে চিকিৎসা করানো না হলে এটি মৃত্যুরও কারণ হতে পারে।

লিভারে দূষিত পদার্থ জমতে থাকলেও প্রত্যঙ্গটি নষ্ট হতে পারে। ওষুধ, রাসায়নিক, অতিরিক্ত মদ্যপানের মতো নানা অভ্যাসে লিভারে ক্ষতিকর উপাদানের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে। সময়মতো সতর্ক না হলে তা বিপদের কারণ হতে পারে। কেননা লিভার কেবল খাবার হজমে সাহায্য করে না, রক্তে শর্করার মাত্রা বজায় রাখা, রক্ত জমাট বাঁধতে না দেওয়া, চর্বি বা ফ্যাটকে ভাঙতে সাহায্য করা, হজমে সাহায্য করা, জরুরি পুষ্টি তৈরি করা, বিপাকহার ঠিক রাখা-সহ অসংখ্য কাজ করে।
কিছু খাবার আছে যা খেলে লিভার ভালো থাকে। লিভার থেকে দূষিত পদার্থ বের করে দিতে খাদ্যতালিকায় কোন খাবারগুলো রাখবেন চলুন জানা যাক-

রোজকার অনেক রান্নায় রসুন ব্যবহার করা হয়। এটি কেবল খাবারের স্বাদ আনতেই সাহায্য করে না, রসুনে থাকা অ্যালিসিন নামক যৌগটি পরোক্ষভাবে লিভার ভালো রাখে। এই মসলায় রয়েছে অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট যা ফ্রি র্যাডিক্যালের হাত থেকে লিভারের কোষগুলিকে রক্ষা করে। কমায় প্রদাহ। রোজ সকালে ১-২ কোয়া রসুন কাঁচা চিবিয়ে খেলে সবচেয়ে বেশি উপকার মেলে। কেননা, রান্নার সময় উচ্চতাপমাত্রার দরুণ রসুনের গুণ নষ্ট হতে পারে।

গাজরে আছে ফ্ল্যাভোনয়েডস এবং বিটা ক্যারোটিন যা লিভারের ক্ষতি রুখতে সাহায্য করে। গাজরের স্মুদি লিভার পরিষ্কার রাখে, দূষিত পদার্থ বের করে দেয়। এতে আরও আছে ভিটামিন এ। লিভারের প্রদাহ কমাতে, পিত্তরসের জোগান ঠিক রাখতেও গাজরের ভূমিকা রয়েছে। লিভারের ক্ষতিগ্রস্ত পদার্থ ভাঙতেও সাহায্য করে গাজরে থাকা উপকারি সব উপাদান। তাই লিভার ভালো রাখতে চাইলে রোজকার পাতে রাখুন গাজর।

সবুজ রঙা ব্রকোলিতে আছে গ্লুটাথিয়ন নামে শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। লিভারের প্রদাহ কমাতে, ক্ষতিগ্রস্ত কোষের পুনরুজ্জীবনে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টের ভূমিকা রয়েছে। এতে সালফার জাতীয় যৌগ এবং কোলাইন রয়েছে, যা লিভারে ফ্যাট জমতে বাধা দেয়। নিয়ম করে পরিমিত ব্রকোলি খান। এতে শুধু লিভার নয়, ভাল থাকবে শরীরও।
এনএম