লাইফস্টাইল ডেস্ক
১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭:১৪ পিএম
শীতের হাওয়া গায়ে লাগতে গরম পোশাক পরা শুরু করেছেন। শিশুকেও গরম পোশাক পরানো শুরু করেছেন। তবুও জ্বর কাবু করেছে ছোট্ট সোনাকে। শীতের এসময়ে সুস্থ থাকতে সবারই কিছু জরুরি সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। বিশেষ করে বাড়িতে ছোট শিশু থাকলে তাদের বাড়তি যত্নের প্রয়োজন হয়।
চিকিৎসকদের মতে, প্রতি বছরই মরসুম বদলের সময় বেড়ে যায় জ্বরের প্রকোপ। সর্দিকাশি, জ্বর ঘরে ঘরেই হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা গেছে, রেসপিরেটারি সিনসিটিয়াল ভাইরাসের সংক্রমণের কারণেই জ্বর, শ্বাসকষ্ট বৃদ্ধি পায়।

প্রতি বছরই মরসুম বদলের সময় বেড়ে যায় রেসপিরেটারি ভাইরাসের প্রকোপ। তাই শিশুর জ্বরের সঙ্গে যদি শ্বাসকষ্ট বা খিঁচুনি দেখা দেয়, তাহলে দেরি না করে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।
১. সবচেয়ে প্রথম দেখতে হবে সর্দিজ্বর কতটা বাড়ছে। তাপমাত্রা যদি খুব বেশি উঠে যায় তাহলে দেরি না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

২. ইনফ্লুয়েঞ্জা জ্বর সাধারণ দুই-তিন দিন থাকে, বারে বারেই ধুম জ্বর আসতে পারে। কিন্তু চার থেকে পাঁচ দিন পরেও যদি জ্বর না কমে তাহলে সতর্ক হোন।
৩. শিশুদের কোনোরকম অ্যান্টি-বায়োটিক খাওয়াবেন না। অ্যাসপিরিন কোনোভাবেই দেওয়া যাবে না। কেবল চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ীই ওষুধ খাওয়াতে হবে।
৪. জ্বরের সঙ্গে খিঁচুনি, অজ্ঞান হওয়ার লক্ষণ দেখা দিলে সময় নষ্ট না করে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।

৫. শিশুর গা গরম দেখলে জলপট্টি দিন। গা, হাত-পা ভালো করে স্পঞ্জ করে দিন। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকে নজর দিতে হবে। হাত না ধুয়ে শিশুর কাছে যাবেন না।
৬. শিশু যদি দিনে পাঁচবারের কম প্রস্রাব করে তা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
৭. সর্দিকাশি হলে শিশুকে বেশি করে পানি খাওয়াতে হবে। অনেকক্ষেত্রেই জ্বর হলে শিশুরা খেতে চায় না। সেক্ষেত্রে গরম স্যুপ, গরম পানি, পাতলা খিচুড়ি খাওয়াতে হবে।

শিশুর শ্বাসকষ্টের সমস্যা থাকলে বা ধুলো থেকে আলার্জি হলে রাস্তায় বের হলে অবশ্যই মাস্ক পরান। বাসে-ট্রেনে কোথাও গেলে মাফলার গলায় রাখুন। প্রয়োজন অনুযায়ী গরম কাপড় পরান।
শীতে ডেঙ্গু হওয়ার প্রবণতা থাকে। তাই মশানিরোধক রাসায়নিক ক্রিম ব্যবহার না করে, চেষ্টা করুন হাত-পা ঢাকা জামাকাপড় পরাতে। শিশুকে বেশি করে ভিটামিন সি যুক্ত ফল ও মৌসুমি সবজি খাওয়ান। বাইরের খাবার একদমই খাবেন না।
এনএম