images

লাইফস্টাইল

সহকর্মীদের সঙ্গে যেসব বিষয়ে আলোচনা করা উচিত নয়

লাইফস্টাইল ডেস্ক

২২ জুলাই ২০২৫, ০৩:১৭ পিএম

সকালে ঘুম ভেঙে কোনোরকমে সকালের নাশতা সেরেই অফিসে দৌড় দেওয়া। সারাদিন সেখানে কাটিয়ে ক্লান্ত শরীরে ঘরে ফেরা। পরদিন ঘুম ভাঙতেই আবার অফিসে যাওয়া। এসব কারণেই অফিসকে হয়তো সেকেন্ড হোম বলা হয়। 

কর্মজীবনের চাপে ব্যক্তিজীবনের পরিসর ক্রমশই ছোট হয়ে আসছে। বর্তমানে বেশিরভাগ মানুষ ঘরের চেয়ে বেশি সময় কাটান কর্মক্ষেত্রে। সংসারের নানা কথা, ব্যক্তিগত অনুভূতি, মান-অভিমান সবটাই তাই ভাগ করে নেন সহকর্মীর সঙ্গে। কিন্তু সহকর্মীর সঙ্গে নিজের অনুভূতি শেয়ার করার একটি নির্দিষ্ট মাত্রা থাকা উচিত। সবকিছু বলে ফেলা উচিত নয়। নয়তো এর জেরেই পরে বড় মাশুল দিতে হয়।

collegue2

কোন কোন বিষয়গুলো সহকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করা উচিত নয়। চলুন বিস্তারিত জেনে নিই- 

ব্যক্তিগত পরিসর: 

সাংসারিক সমস্যা, সম্পর্কের নানা রসায়ন, পারিবারিক বিষয়— এগুলো কর্মক্ষেত্রে সবার কাছে না বলাই ভালো। কেননা মনের কথা বলে আপনি অফিসে চর্চার বিষয় হয়ে যেতে পারেন। সহকর্মীদের কেউ যদি তেমন আস্থাভাজন হতে পারেন, তাহলে তাকে সুখ-দুঃখের কথা বলতে পারেন। তবে ব্যক্তিগত জীবনের সব তথ্য অন্যের কাছে যত কম বলবেন, ততই ভালো। 

অপছন্দ: 

কর্মক্ষেত্রের সবাইকে যে আপনার ভালো লাগবে বা পছন্দ হবে এমনটা নাও হতে পারে। কিন্তু কাউকে পছন্দ নয় একথা সবাইকে বলে বেড়ানোর কিছু নেই। ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দ দিয়ে কাজের স্বার্থে সবার সঙ্গে পেশাগত সম্পর্ক বজায় রাখাই বুদ্ধিমত্তার পরিচয়। নিজের অপছন্দের কথাটি বিশেষ ব্যক্তির কানে গেলে পেশাগত সম্পর্কও ছিন্ন হতে পারে। পেশাগত জীবনেও এর প্রভাব পড়তে পারে।

collegue3

নতুন সুযোগ: 

হয়তো অফিসের পরিবেশ আপনার পছন্দ হচ্ছে না। কিংবা নতুন কোথাও থেকে কাজের অফার পেয়েছেন। সঠিক সময়ের আগে এই দুই বিষয়েই কথা বলা অনুচিত। কাজের পরিবেশ ভালো না লাগলে নিজের মতো অন্য কোথাও কাজ খুঁজুন। যতক্ষণ না নতুন চাকরি নিশ্চিত হচ্ছে ততক্ষণ চুপ থাকাই শ্রেয়। নয়তো কর্মক্ষেত্রের পরিবেশ জটিল হতে পারে। 

কাজ নিয়ে কথা: 

ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ আপনাকে কোনো কাজ দিয়েছে যা আপনার পছন্দ হয়নি? এ বিষয়ে অন্য সহকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করা পেশাদার মানসিকতার মধ্যে পড়ে না। বরং নির্দিষ্ট কাজ নিয়ে সমস্যা থাকলে সেটি ব্যক্তিগত স্তরে রেখে যার সঙ্গে আলোচনা প্রয়োজন, তার সঙ্গেই করা উচিত।

collegue4

সামাজিক মাধ্যমে স্ট্যাটাস:

ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম আপনার ব্যক্তিগত বিষয় হলেও সেখানে আপনি কী লিখছেন, কী স্ট্যাটাস দিচ্ছেন সেগুলো সবাই দেখে। অনেকসময় আপনার স্ট্যাটাস কর্মক্ষেত্রের জন্য প্রতিকূল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে। তাই বুঝেশুনে লিখুন। 

এনএম