ফিচার ডেস্ক
০১ জুলাই ২০২৫, ০৫:৩৩ পিএম
মনুষ্যত্ব হীনতায় যে প্রাণ
বিরাজ করে সংসারে
কি করে মানুষ বলি তারে
এ তো নিজের সাথেই নিজে করা
এক দুঃসহ অনাচার!
তোমারই পাশে পড়ে থাকা
অন্ধ-বধির,অসহায় মানুষজন
ক্ষুধা- তৃষ্ণায় কাতর যত প্রাণ
হাত বাড়িয়ে, নিজেকে বিলিয়ে
প্রাণ যোগাও, বিমুক্ত করো নিজেকে।
সদ্যজাত যে শিশু ক্ষুধার তাড়নায়
বুঝে নেয়, জন্মই তার আজন্ম পাপ
চারিদিক তার নিকষ কালো
হাত বাড়াও, বুকে তুলে নাও
পরম আদরে, হও মমতার আঁধার।
সংসার-সমুদ্রে দিকভ্রান্ত নাবিকের মতন
যে যুবক, ঝাপসা দৃষ্টিতে ঘুরে ফিরে
ক্লান্ত শ্রান্ত হয়ে রণভঙ্গ চায় দিতে,
কাঁধে হাত রাখো, উৎসাহের নহর হও
স্নিগ্ধ করো তাকে স্নেহের পরশে।
আশা-ভরসার মেলবন্ধন গড়ো।
বয়োবৃদ্ধ যে পিতা-মাতা-স্বজন
তার ঝাপসা দৃষ্টির ফাঁকে
এতটুকুন নির্ভরতা চায়,
জীবন সায়াহ্নে এসে
পাড়ি দিতে চায় জীবনের বাকি পথ
দু'বাহু প্রসারিত করে বুকের উষ্ণতায়
তার ঢাল হও, সাহস যোগাও, আশ্বাস হয়ে
প্রথা ছড়িয়ে দাও প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে।
নিজেকে মেলে ধরো, পবিত্র করো
সংকীর্ণতাকে বিমুক্ত করে, দৃপ্তপায়ে
এগিয়ে চলো, দামামা বাজিয়ে গেয়ে যাও
জীবনের জয়গান, ক্রমাগত নিজেকে ছাড়িয়ে
ভালোবাসা ছড়িয়ে দাও সকল প্রাণে।
কবি: মুখ্য কর্মকর্তা, ইসলামী ব্যাংক পিএলসি