লাইফস্টাইল ডেস্ক
০১ জুলাই ২০২৫, ০৫:৩৩ পিএম
বর্ষাকাল মানেই আর্দ্রতা, ভেজাভাব। কখনো ঠান্ডা আবার কখনো গরম। আবহাওয়ার এমন পরিবর্তনের সঙ্গে শরীরেও নানা পরিবর্তন দেখা যায়। বর্ষার সমস্যাগুলোর মধ্যে অন্যতম বিরক্তিকর সমস্যা হলো ঘামের দুর্গন্ধ। খেয়াল করে দেখবেন গ্রীষ্মের তুলনায় বর্ষায় ঘামের গন্ধ আরও বেশি হয়। কিন্তু এমনটা হয় কেন? কীভাবেই বা এই অস্বস্তিকর গন্ধ থেকে মুক্তি পাবেন? চলুন জেনে নিই-
বর্ষাকালে বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকে। ফলে ঘাম সহজে শুকায় না। এসময় শরীরে ঘামের সঙ্গে থাকা প্রোটিন, ফ্যাটি অ্যাসিড এবং মৃত কোষে ব্যাকটেরিয়া সহজে জন্মায়। এই ব্যাকটেরিয়াই গন্ধের মূল কারণ।

বর্ষায় অনেকেই আঁটসাঁট বা সিনথেটিক জামা-কাপড় পরেন। এটি শরীরের বায়ু চলাচল ব্যাহত করে। ফলে ঘাম বেশি হয় এবং তা তাড়াতাড়ি শুকায় না।
বর্ষাকালে পা, বগল, গলা, কোমর, কুচকির মতো জায়গায় ফাঙ্গাস ও ব্যাকটেরিয়া বেশি জন্মায়। এতে দুর্গন্ধ বেশি হয়।

বর্ষায় অনেকেই শীতল আবহাওয়ার কারণে কম গোসল করেন কিংবা ভেজা জামাকাপড় পরে থাকেন। এতে শরীরে ব্যাকটেরিয়া জমে দুর্গন্ধ বাড়ে।
প্রতিদিন অন্তত একবার (বিশেষ করে বাইরে থেকে এসে) অ্যান্টিসেপটিক সাবান বা ফেনাইল মেশানো পানিতে গোসল করুন।

সিনথেটিক নয়, বরং হালকা রঙের সুতি পোশাক পরুন। এতে শরীরের বায়ু চলাচল সহজ হয়। ঘামে কম দুর্গন্ধ হয়।
শরীরের এই অংশগুলো বেশি ঘামে। দিনে ২ বার পাউডার বা অ্যান্টি-ফাঙ্গাল পাউডার ব্যবহার করুন।

অ্যালুমিনিয়াম-ফ্রি ডিওডোরেন্ট ব্যবহার করুন। ঘরোয়া উপায় কাজে লাগাতে চাইলে বেকিং সোডা বা পাতিলেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়েও বগলে মাখতে পারেন।
ভেজা জামা যত দ্রুত সম্ভব পাল্টে ফেলুন। এতে ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি রোধ হয়।
বর্ষাকালে ঘামের দুর্গন্ধ হওয়া স্বাভাবিক। তবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং কিছু সহজ অভ্যাস মেনে চললে সহজেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
এনএম