লাইফস্টাইল ডেস্ক
২৪ জুন ২০২৫, ০৪:৪৯ পিএম
কাজের বাড়তি চাপ, জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, ভালো থাকা আকাঙ্ক্ষা, আয়ের তুলনায় ব্যয় বেশিসহ নানা কারণে প্রতিনিয়ত বাড়ছে মানসিক চাপ বা স্ট্রেস। বাড়তি চাপের প্রভাব পড়ছে মনে ও শরীরে।
তবে চিকিৎসকরা বলছেন, সুস্থ থাকতে স্ট্রেস কমানোর বিকল্প নেই। কীভাবে লড়বেন মানসিক চাপের সঙ্গে। কীভাবে কমাবেন স্ট্রেস? চলুন জেনে নেওয়া যাক-
ওয়েবএমডি’তে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ডিপ ব্রিদিং বা জোরে শ্বাস টানার ফলে আমাদের পেশিগুলো শিথিল হয়। এতে মস্তিষ্ক ও শরীর শান্ত হয়। কয়েকবার জোরে শ্বাস নিন। পাশাপাশি কুসুম গরম পানিতে গোসল করুন বা ঘাড় ম্যাসাজ করুন। এতেও উপকার মিলবে। দূর হবে শরীর ও মনের স্ট্রেস।

হেলথলাইনে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ডিভাইস ব্যবহার কমিয়ে দিলে স্ট্রেসও কমে যায়। অফিসে যেহেতু স্ক্রিন টাইম দিতেই হয়, তাই চেষ্টা করুন বাড়িতে ফিরে ডিভাইস ব্যবহার না করতে। অতিরিক্ত ডিভাইসের ব্যবহারের কারণে ঘুমেরও ব্যাঘাত ঘটে। ফলে বাড়ে স্ট্রেস।
খাবারের সঙ্গে মানসিক চাপের প্রত্যক্ষ সম্পর্ক রয়েছে। খাদ্য তালিকায় প্রসেসড ও অতিরিক্তি চিনিজাতীয় খাবার রাখলে স্ট্রেস বাড়বে। প্রোটিন ও আঁশ সমৃদ্ধ খাবার খান। এতে শরীর ও মন ফুরফুরে থাকবে। খাদ্যতালিকায় রাখুন সবুজ শাকসবজি, ফল, মাছ ও বাদাম।

জীবনের যাবতীয় বিষয় নিয়ে আমরা এতটাই ব্যস্ত থাকে যে নিজের প্রতি যত্ন নেওয়ার আর অবসর মেলে না। তবে স্ট্রেস কমাতে চাইলে নিজেকে সময় দেওয়া বা ‘মি টাইমের’ বিকল্প নেই। দিনের মধ্যে কিছুটা সময় কেবল নিজের জন্য বরাদ্দ রাখুন। এই সময়টুকু নিজের মতো করে কাটান। বই পড়ুন, গান শুনুন কিংবা ছবি আঁকুন। নিজের যা করতে ভালো লাগে তাই করুন।
স্ট্রেস কমাতে কিছুক্ষণ ব্যায়াম করুন। খুব ভারী ব্যায়াম করতে হবে এমনটা নয়। জগিং, সাইক্লিং, সাঁতার কিংবা হাঁটার মতো কাজগুলো করতে পারেন। এতে শরীর ভালো থাকবে, মন থাকবে ফুরফুরে।

স্ট্রেস কমানোর অন্যতম কার্যকর উপায় প্রিয়জনদের সঙ্গে সময় কাটানো। কাজের চাপ ও ডিভাইস নির্ভরতার কারণে আজকাল বন্ধুদের সঙ্গে আর আড্ডা দেওয়া হয় না। পরিবারের সবাই মিলে গল্পের ঝুলি খুলে বসা হয় না। চাপ কমাতে এই কাজটিই করুন।
অনেকসময় কাজের চাপে আমরা জীবনকে জটিল করে তুলি। কখনো কখনো এই স্ট্রেস লেভেল এতটাই বেড়ে যায় যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। এমন পরিস্থিতিতে নিজেকে বোঝান। অতিরিক্ত দুশ্চিন্তার অভ্যাস বাদ দিন।
এনএম