images

লাইফস্টাইল

মিথ্যা বললেই গরম হয়ে যায় শরীরের ‘এই অঙ্গ’

লাইফস্টাইল ডেস্ক

১১ মে ২০২৫, ০৬:৪৯ পিএম

মিথ্যা বলা মহাপাপ। তবু জীবনের কোনো না কোনো পর্যায়ে আমরা মিথ্যা বলে ফেলি। কখনো বাধ্য হয়ে, কখনো তথ্য গোপন করতে। কেউ আবার এমনভাবে মিথ্যা বলেন, শুনে মনে হয় সেটিই সত্যি। তবে জানেন কি, মিথ্যা বলার সময় অজান্তেই আমাদের শরীর কিছু সংকেত দেয়? 

কেউ মিথ্যে বললেই শরীর তাকে অসংখ্য ‘সিগন্যাল’ দিতে থাকে! বিজ্ঞান বলছে, আমাদের শরীর এমনভাবে গঠিত যে, সত্য লুকানোর চেষ্টা করা মাত্র অজান্তে শারীরিক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। এমনই এক গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ হলো শরীরের বিশেষ কিছু অংশের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া। মিথ্যা বললেই শরীরের একটি বিশেষ অঙ্গ গরম হয়ে ওঠে। 

lie1

অনেকের আবার মিথ্যা বলার সময় কথা বলার ধরন বদলে যায়। যেমন মিথ্যা বলার সময় অনেকেই খুব জোরে কথা বলতে থাকেন। অপরপক্ষের চোখে চোখ রেখে কথা বলতে চান না। 

কোনো ব্যক্তি মিথ্যা বললে চোখের দিকে সরাসরি তাকিয়ে কথা কম বলেন। মুখ ঘুরিয়ে দূরে তাকিয়ে কথা বলেন। 

lie2

মনোবিদ ও বডি-ল্যাংগুয়েজ বিশেষজ্ঞদের মতে, দীর্ঘদিন ধরে মিথ্যে বলা মানুষের শরীর নিজের অজান্তেই সত্যের ইশারা দিতে শুরু করে। যারা ধোঁকাবাজি বা প্রতারণা করে, তাদের মুখে হাসি থাকলেও শরীরের প্রতিক্রিয়া জানান দেয় আসল গল্প। 

গবেষণায় দেখা গিয়েছে, মানুষ যখন মিথ্যে বলে, তখন তার শরীরের প্রতিক্রিয়া বদলে যায়। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, মিথ্যে বলার সময় ব্যক্তির নাক গরম হয়ে যায়। এই লক্ষণকে "পিনোকিও ইফেক্ট" বলেও উল্লেখ করা হয়। এটি রূপকথার চরিত্র পিনোকিওর সাথে সম্পর্কিত। যেখানে সে মিথ্যা বলার সঙ্গে সঙ্গেই তার নাক লম্বা হয়ে যেত। 

lie4

কেন এমনটা হয়? আসলে মিথ্যা বলার সময় মানুষের মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশ সক্রিয় হয়, যা শরীরের বিভিন্ন অংশে প্রভাব ফেলে। মিথ্যা বলার সময় মানসিক চাপ বা উদ্বেগের কারণেও শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে। 

এনএম