লাইফস্টাইল ডেস্ক
১১ মে ২০২৫, ০২:৫০ পিএম
স্বাস্থ্য সচেতন ব্যক্তিদের কাছে জনপ্রিয় একটি খাবার ওটস। দ্রুত ওজন কমাতে এর জুড়ি মেলা ভার। লো কার্ব ডায়াটে যারা আছেন তাদের জন্য ভাত-রুটির সবচে ভালো বিকল্প ওটস। তাইতো অসংখ্য মানুষ এখন সকালের নাশতায় খাবারটি খাচ্ছেন। কিন্তু প্রশ্ন হলো, উপকারি এই খাবারটি কি সবার জন্যই উপকারি?
না। স্বাস্থ্যকর হলেও ওটস কিছু মানুষের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে। কিছু শারীরিক সমস্যা থাকলে খাবারটি না খাওয়াই ভালো। চলুন এ বিষয়ে বিষদ জেনে নিই-

অনেকেরই গ্লুটেনে অ্যালার্জি থাকে। এটি এক ধরনের প্রোটিন যা বেশি খেলে অনেকের শরীরেরই অটোইমিউন প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। খাদ্যনালির ক্ষুদ্রান্ত্রের শ্লৈষ্মিক ঝিল্লির (মিউকাস মেমব্রেন) ক্ষতি হয় এবং তা খসে যেতে থাকে। এর কারণ পেট ফাঁপা, পেট ব্যথা এবং ডায়রিয়ার মতো উপসর্গ দেখা যায়। একে সিলিয়াক রোগ বলে। এই রোগে ভুগলে মুখে-জিভে ছোট আলসারও হতে পারে। এমন সমস্যা থাকলে ওটস না খাওয়াই ভালো।
আইবিএস বা ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম থাকলে ওটস খাওয়া উচিত নয়। যারা এই সমস্যায় ভুগছেন তারা ওটস খেলে কোনো লাভ হবে না। উল্টো পেটের সমস্যা আরও বাড়বে।

অনেকে মনে করেন ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ওটস উপকারি। এই ধারণা ভুল। ওটসে থাকা জটিল কার্বোহাইড্রেট রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। ডায়াবেটিস থাকলে চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদের পরামর্শ ছাড়া নিজে থেকে ওটস না খাওয়াই ভালো।
কার্বোহাইড্রেট-প্রোটিন-ফ্যাট সব বাদ দিয়ে খালি ওটস খেলে শরীরে খনিজ উপাদানগুলোর ঘাটতি হবে। ওটসে আছে ফাইটিক অ্যাসিড যা ক্যালশিয়াম, আয়রন ও জিঙ্কের শোষণে বাধা দেয়। তাই বেশি পরিমাণ ওটস খেলে নানাবিধ শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।

ওটস মানেই হাই-ফাইবার ডায়েট। যারা বেশি ফাইবার খেতে অভ্যস্ত নন, তাদের পেটের রোগ হওয়ার আশঙ্কা বেশি। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকলে তা বাড়িয়ে দিতে পারে ওটস।
এনএম