লাইফস্টাইল ডেস্ক
১০ মে ২০২৫, ১২:৩৫ পিএম
সুস্থ থাকতে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার বিকল্প নেই। আর ওজন কমানোর জন্য বিপাকহার বৃদ্ধির পরামর্শ দিয়ে থাকেন পুষ্টিবিদরা। আর বিপাকহার নিয়ন্ত্রণে রাখে যে হরমোন তা থাইরয়েড গ্ল্যান্ডে তৈরি হয়। এই থাইরয়েড গ্ল্যান্ড যখন ঠিকঠাকভাবে কাজ করে না, তখন হয় হরমোন বেশি নিঃসৃত হয়, নয়তো কম। এমনটা হলে বুঝতে হবে রোগী থাইরয়েডের সমস্যায় ভুগছেন।
থাইরয়েডের সমস্যা হলে নানা শারীরিক জটিলতা দেখা দেয়। রোগীর ওজন অনেক বেড়ে যায়, নয়তো মারাত্মক হারে কমে যায়। যা থেকে আরও অনেক সমস্যা দেখা দেয়। এসব জটিলতা যেন বাড়াবাড়ি পর্যায়ে না পৌঁছায় সেজন্য থাইরয়েডের রোগীদের নিয়মিত ওষুধ খেতে হয়। তবে এই ওষুধ খাওয়ার কিছু নিয়ম আছে। যা বেশিরভাগ মানুষই মানেন না।
একটি ওষুধ কতটা কাজ করবে, কত দ্রুত কাজ করবে তা নির্ভর করে ওষুধটি কতটা নিয়ম মেনে খাওয়া হচ্ছে তার ওপর।
যেকোনো ওষুধ খাওয়া হয় রোগের প্রতিকারের জন্য। কিন্তু শরীর যদি ওষুধের সব গুণাগুণ গ্রহণ করতে না পারে, তবে যথাযথ ফলও পাওয়া যাবে না। থাইরয়েডের ওষুধ খাওয়ার সময় দু’টি বিষয় খেয়াল রাখতে বলা হয়।

১। থাইরয়েডের ওষুধ সব সময় খালি পেটে খেতে হয়।
২। থাইরয়েডের ওষুধ খাওয়ার পর কিছু খাবার এড়িয়ে চলা উচিত।
ক্যালসিয়ামের পরিমাণ বেশি এমন খাবার খাবেন না। যেমন- দুগ্ধজাত খাবার বা প্রক্রিয়াজাত ফলের রস।

থাইরয়েডের ওষুধ খাওয়ার পর আয়রন সমৃদ্ধ খাবার- যেমন খাসির মাংস, পালংশাক, প্রক্রিয়াজাত দানাশস্য খাবেন না।
ফাইবার বেশি আছে এমন খাবার এড়িয়ে চলবেন

সয়াবিন থেকে তৈরি খাবার, যেমন সয়ামিল্ক, টোফু ইত্যাদি থাইরয়েডের ওষুধ খাওয়ার পর খাওয়া উচিত হয়।
থাইরয়েডের ওষুধ খাওয়ার পরপরই কফি খাবেন না।

থাইরয়েডের ওষুধের সব গুণ যেন শরীর গ্রহণ করতে পারে তার জন্য এই ওষুধ খাওয়ার পর ৬০ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলছেন চিকিৎসকরা। এতে শরীর ওই ওষুধ কাজে লাগানোর জন্য যথেষ্ট সময় পাবে। তবে পানি পান করতে পারেন। কারণ, পানি এই প্রক্রিয়ায় কোনো বাধা সৃষ্টি করবে না।
অর্থাৎ সকালে উঠে খালি পেটে থাইরয়েডের ওষুধ খান। এরপর ঘন্টাখানেক অপেক্ষা করে খাবার খান। তাহলেই সর্বোচ্চ উপকারিতা মিলবে।
এনএম