লাইফস্টাইল ডেস্ক
১৫ মার্চ ২০২৫, ০৫:০৫ পিএম
আর্থ্রাইটিস একটি ক্রনিক ও অটোইমিউন অসুখ। এই রোগে আক্রান্ত হলে জয়েন্টে ব্যথা আর যন্ত্রণা শুরু হয়। বাতের ব্যথা এতই কষ্টকর যে দৈনন্দিন কাজকর্ম করাও কঠিন হয়ে পড়ে। পেইনকিলার খেয়ে বা পেইন রিলিফ জেল লাগিয়েও কোনো সমাধান মেলে না।
বাতের ব্যথায় অন্যতম কিছু লক্ষণ হলো- জয়েন্ট শক্ত হয়ে হওয়া, জয়েন্ট ফুলে ওঠা, মারাত্মক ব্যথা ও যন্ত্রণা। এসব উপসর্গকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঘরোয়া টোটকার সাহায্য নিতে পারেন। কিছু ভেষজ উপাদান রয়েছে যা বাতের ব্যথা নিয়ন্ত্রণে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
হলুদ
হলুদকে বলা হয় ‘গোল্ডেন মসলা’। এতে থাকা কারকিউমিন যৌগ, দেহে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান হিসেবে কাজ করে। এটি জয়েন্টের প্রদাহ কমায়। জয়েন্টের ব্যথা-যন্ত্রণা, ফোলাভাব কমাতে রোজকার ডায়েটে হলুদ রাখুন।
আদা
একাধিক শারীরিক জটিলতা দূর করতে সাহায্য করে আদা। এসব শারীরিক জটিলতার মধ্যে বাতের ব্যথাও রয়েছে। এই ভেষজটিতে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান রয়েছে। আর্থ্রাইটিসের কষ্ট কমাতে পারে আদা। রোজকার খাবারে আদা ব্যবহার করুন। গাঁটের ওপর আদার তেল মালিশ করুন। এতে ব্যথা কমবে।
অ্যালোভেরা
অ্যালোভেরাতেও আছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান। গাঁটের ব্যথা-যন্ত্রণা এবং ফোলা ভাব কমাতে সাহায্য করে এই ভেষজ। শরীরের যে অংশে যন্ত্রণা হচ্ছে, তার ওপর অ্যালোভেরা জেল মালিশ করতে পারেন। এছাড়া রোজ সকালে খালি পেটে অ্যালোভেরার রস পান করুন। এই পানীয় শরীরের ক্ষত নিরাময়ে সাহায্য করে এবং ডিটক্সিফিকেশনের কাজ করে।
গ্রিন টি
অ্যালোভেরার রসের মতো খেতে পারেন গ্রিন টি-ও। জয়েন্টের প্রদাহ কমাতে গ্রিন টি’র জুড়ি মেলা ভার। এই চায়ের মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান রয়েছে। বাতের ব্যথা কমানোর পাশাপাশি হাড়ের স্বাস্থ্য উন্নত করে এই পানীয়।
এনএম