লাইফস্টাইল ডেস্ক
১০ মার্চ ২০২৫, ০১:১৪ পিএম
রমজান মাসে আমাদের খাওয়াদাওয়া এবং ঘুমের রুটিনে পরিবর্তন আসে। যারা ফিট থাকতে চান বা ওজন কমাতে চান তাদের জন্য এই মাসটি হতে পারে উপযুক্ত সময়। রমজানের ৩০ দিন স্বাস্থ্যকর ডায়েট ও ব্যায়ামের মাধ্যমে ওজন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
কিন্তু প্রশ্ন হলো, রমজানে ব্যায়াম করবেন কখন? কীভাবেই বা ব্যায়াম করবেন? একজন রোজাদারের ব্যায়াম করার সর্বোত্তম সময় কখন- ইফতারের আগে না পরে? চলুন বিস্তারিত জেনে নিই-
গবেষণায় দেখা গেছে, কোনো শারীরিক ব্যায়াম বা কার্যকলাপ না করে একটানা ৩০ দিন পার করলে শক্তি ও শারীরিক সুস্থতা কমে যায়। তাই শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে রমজানেও সক্রিয় থাকা উচিত।
ইফতারের আগে ব্যায়াম
ইফতারের আগে ভারী কোনো ব্যায়াম না করাই ভালো। করতে চাইলেও হালকা ব্যায়াম করুন। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত স্থানে ব্যায়াম করার চেষ্টা করুন। ইফতারের আগে ব্যায়াম করলে ৬০ মিনিটের বেশি সময় করবেন না।
এছাড়া ইফতারে পর্যাপ্ত পানি বা তরল পান করুন। এতে শরীর থেকে বের হয়ে যাওয়া লবণ এবং খনিজের ঘাটতি পূরণ হবে।
ইফতারের পর ব্যায়াম
রমজানে ব্যায়াম করা উপযুক্ত সময় ইফতারের পর। তবে ইফতার করেই ব্যায়াম করা যাবে না। রোজা ভাঙার অন্তত ৩ ঘণ্টা পরে ব্যায়াম করুন। কেননা এই সময়ে আপনার শরীর হজম প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ফেলে।
রমজানে ব্যায়াম করার ক্ষেত্রে যেসব বিষয় মেনে চলবেন-
প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট ব্যায়াম করুন। চেষ্টা করুন শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত স্থানে ব্যায়াম করার।
দিনের বেলা এবং বিশেষ করে গরম আবহাওয়ায় কিংবা উচ্চ-তীব্রতার ব্যায়াম করবেন না। এতে শরীরের তরল ক্ষয় হয়ে যাবে এবং বাড়বে ডিহাইড্রেশন।
রমজানে ব্যায়াম করার জন্য একটি সুবিধাজনক সময় বেছে নিন। রোজা ভাঙার সাথে সাথে শারীরিক কার্যকলাপ এড়িয়ে চলুন। কারণ এসময় শরীরের সব শক্তি খাদ্য হজমের দিকে পরিচালিত হবে।
রোজায় পানিশূন্যতা এড়াতে ইফতার ও সেহরির মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করুন।