লাইফস্টাইল ডেস্ক
০৯ মার্চ ২০২৫, ০৩:১২ পিএম
ক্রনিক বা দীর্ঘমেয়াদি রোগে আক্রান্ত থাকলে জীবনযাত্রায় কিছু পরিবর্তন আনতে হয়। এসব রোগে ভোগা ব্যক্তিদের নিয়ম করে ওষুধ খেতে হয়। সময়ের হেরফের হলে বাড়ে স্বাস্থ্যঝুঁকি। কিন্তু রমজানে নিয়মিত খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আসে। এসময় ভোর থেকে সন্ধ্যা সব ধরনের পানাহার থেকে বিরত থাকতে হয় সিয়াম পালনের উদ্দেশ্যে। তাহলে রমজানে ওষুধ খাওয়ার নিয়ম কী হবে?
রোজায় ডায়াবেটিস, প্রেশার ও হার্টের রোগীদের খাওয়াদাওয়া এবং ওষুধ খাওয়ার ব্যাপারে নিতে হয় বাড়তি সতর্কতা। চলুন এ বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নিই-
রমজানে ডায়াবেটিসের ওষুধ খাওয়ার নিয়ম
ডায়াবেটিক রোগীকে অনেক বেশি নিয়ম-কানুন মেনে চলতে হয়। খাওয়াদাওয়া আর ওষুধ খাওয়ার সময়ের মধ্যে সমন্বয় করতে হয়। পাশাপাশি চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নিতে হয় ইনসুলিনের ডোজ।
রমজানে ডায়াবেটিক রোগীরা সকালের ওষুধ খাবেন ইফতার করার পরে। দুপুরের ওষুধ খাবেন রাতের খাবারের পর। আর রাতের ওষুধ খাবেন সাহরির সময়।
যারা দুই বেলা ইনসুলিন নেন, তারা সকালের ইনসুলিন নিন ইফতারের পরপর। আগের মাত্রায়ই (পরিমাণ) নেবেন। আর রাতের ইনসুলিন নেবেন সাহরিতে। তবে পরিমাণ কমিয়ে নিতে হবে। আগের ডোজের অর্ধেক ইনসুলিন নেবেন।
যারা দিনে একবেলা ডোজের ইনসুলিন (ব্যাসাল ইনসুলিন) নেন, তারা সেটি ইফতারের পর নেবেন এবং রোজার আগের ডোজ থেকে ১৫ থেকে ৩০ শতাংশ কম নেবেন।
সকাল ১০টায় সুগার মাপবেন। সুগারের পরিমাণ খুব বেশি হলে পরের রাতে সাহরিতে ডোজ আরেকটু বাড়িয়ে নেবেন। রোজার কারণে সুগার নিল (হাইপো) হতে পারে। তাই বিকেল ৪টায় আরেকবার সুগার মাপবেন। সুগারের মাত্রা খুব কম হলে অর্থাৎ ৩-এর কম হলে রোজা ভেঙে ফেলুন।
হার্টের ওষুধ খাওয়ার নিয়ম
যেসব হার্টের রোগী পানি কমানোর ওষুধ খান, তারা সেগুলো সাহরিতে খাবেন এবং আগের ডোজের চেয়ে অর্ধেক খাবেন। রক্ত পাতলা করার ওষুধ ইফতারের পর খাবেন। কোলেস্টেরল কমানোর ওষুধও ইফতারের পর খাবেন। হার্টের বাকি ওষুধগুলো আপনি যেকোনো বেলায় খেতে পারেন। হার্টের যে ওষুধগুলো থেকে প্রেশার কমে যায়, সেই ওষুধগুলোর ডোজ কমিয়ে অর্ধেক খেতে হবে। নাহয় রাতে প্রেশার অনেক কমে যেতে পারে।
প্রেশারের ওষুধ খাওয়ার নিয়ম
রোজার সময় যেহেতু দিনের বেলায় পানাহার থেকে বিরত থাকা হয়, তাই প্রেশার এমনিতেই কমে যেতে পারে। সেজন্য প্রেশারের ওষুধ কমিয়ে খেতে হবে। ওষুধ কতটুকু কমাবেন, তা চিকিৎসকের সঙ্গে আলাপ করে ঠিক করে নিতে হবে। যারা এক বেলা প্রেশারের ওষুধ খান, তারা যেকোনো বেলায় খেতে পারবেন। যারা দুই বেলা প্রেশারের ওষুধ খান, তারা সাহরি ও ইফতারের পর খাবেন। আর যারা তিন বেলা প্রেশারের ওষুধ খান, তারা দুপুরের ওষুধটি চিকিৎসকের সঙ্গে আলাপ করে বন্ধ রাখতে পারেন।
গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ
এছাড়াও রমজানে অনেকে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় ভোগেন। এক্ষেত্রে ইফতার শেষ করার আধা ঘণ্টা পর গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ খান।
এনএম