images

লাইফস্টাইল

কোন কোন পদার্থের কারণে ব্লাড ক্যানসার হতে পারে?

লাইফস্টাইল ডেস্ক

২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৩:১৬ পিএম

বিভিন্ন ধরনের ক্যানসারের মধ্যে ব্লাড ক্যানসার অন্যতম। এই ক্যানসারের আশঙ্কা বাড়িয়ে দেয় জিনগত প্রভাব, জীবনধারা ইত্যাদি। লিউকেমিয়া, লিম্ফোমা এবং মায়েলোমার মতো ব্লাড ক্যানসার থেকে বাঁচতে সবার আগে সাবধানতা জরুরি। এছাড়াও আরও একটি কারণ রয়েছে যা এর জন্য দায়ী। আর তা হলো পরিবেশগত বিষাক্ত পদার্থ। 

কোন কোন পদার্থের কারণে ব্লাড ক্যানসার হয়? 

ক্যানসার বিশেষজ্ঞদের মতে, পরিবেশগত বিষাক্ত পদার্থ রক্তনালীতে বড়সড় পরিবর্তন আনতে পারে। এসব বিষাক্ত পদার্থগুলোর মধ্যে রয়েছে বেনজিন, কীটনাশক, ভারী ধাতু (যেমন আর্সেনিক এবং সীসা) এবং অন্যান্য পরিবেশ দূষণকারী পদার্থও। এই ক্ষতিকারক পদার্থগুলোর দীর্ঘমেয়াদী সংস্পর্শে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে যেতে পারে এবং ডিএনএ-র ক্ষতি করতে পারে। যা পরবর্তীতে রক্ত কোষে ক্যানসারের কারণ হতে পারে।

smoke

কোন ধোঁয়া ক্যানসার সৃষ্টি করার ক্ষমতা রাখে?

সিগারেটের ধোঁয়া, যানবাহন থেকে বেরিয়ে আসা ধোঁয়া এবং কিছু কারখানা থেকে নির্গত রাসায়নিক পদার্থে পাওয়া একটি ক্ষতিকারক পদার্থ হলো বেনজিন। ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অন ক্যানসার (আইএআরসি) অনুযায়ী, বেনজিনের দীর্ঘমেয়াদী সংস্পর্শে থাকার ফলে অ্যাকিউট মাইলয়েড লিউকেমিয়া (এএমএল) নামক এক ধরনের রক্তের ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়। চিকিৎসকদের আরও দাবি, এটি অস্থি মজ্জার রক্ত গঠনকারী কোষগুলোর ক্ষতি করে এবং রক্ত কোষের উৎপাদনকেও প্রভাবিত করতে পারে।

কীটনাশকও বিপজ্জনক

ব্লাড ক্যানসারের সঙ্গে সংযোগ রয়েছে কীটনাশকের। কৃষিকাজে ব্যবহৃত বেশ কিছু কীটনাশক নন-হজকিন লিম্ফোমা এবং অন্যান্য রক্তের ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়। ক্যানসার বিশেষজ্ঞের মতে, এই কীটনাশকগুলো স্বাভাবিক কোষের কার্যকারিতা ব্যাহত করতে পারে এবং কোষের ক্ষতি করতে পারে। এর ফলে মিউটেশন হতে পারে।

blood_cancer1

দায়ী আর্সেনিকও

আর্সেনিকের মতো ভারী ধাতু, কল-কারখানা থেকে নির্গত বা চিকিৎসা খাতে স্ক্যানের মতো জিনিস থেকে বেরিয়ে আসা দীর্ঘমেয়াদী বিকিরণের সংস্পর্শে এলেও রক্তের ক্যানসারের বিকাশ হতে পারে। এসব ক্ষতিকারক পদার্থ স্বাভাবিক কোষ মেরামত ব্যাহত করতে পারে এবং কোষের জিনগত উপাদানের ক্ষতি করতে পারে।

ব্লাড ক্যানসার থেকে সচেতন থাকার উপায়

যদি এমন কোনো পরিবেশে থাকতে হয় বা কাজ করতে হয়, যেখান থেকে পরিবেশগত বিষাক্ত পদার্থ নির্গত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি, সেক্ষেত্রে আগেভাগেই সচেতন হওয়া জরুরি। চিকিৎসকের মতে, নিজেদের রক্ষা করার জন্য, এমন উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ক্ষেত্রে প্রতিরক্ষামূলক সরঞ্জাম ব্যবহার করতে হবে। ক্ষতিকারক পদার্থের সংস্পর্শ আসাটা কমানোও গুরুত্বপূর্ণ।

blood-cancer2

রক্তের কোনও সমস্যা রয়েছে কিনা তা প্রাথমিকভাবে সনাক্ত করতে ক্যানসার টেস্টের ল্যাবে গিয়ে নিয়মিত চেক-আপ করারও পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। সময়ের আগে বিপদের আঁচ পেলে চিকিৎসা করা সহজ হয়। 

এনএম