images

লাইফস্টাইল

১০ মাসে ২১ কেজি ওজন কমানোর অবিশ্বাস্য কাহিনি

লাইফস্টাইল ডেস্ক

০৩ জুন ২০২২, ০৬:৪৭ এএম

ভারতের গুজরাটের বাসিন্দা প্রজ্ঞা পাণ্ডব কাটারিয়া আরাম প্রিয়। অনেকটা অলস প্রকৃতিরও বটে! খাওয়া-দাওয়ার কোনো বালাই ছিল না। ইচ্ছামতো খেতেন। আর আরামদায়ক আলস্যে দিন কাটাতেন। ফলে তার বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ৬৯ কেজিকে। এই বাড়তি ওজন নিয়েও আক্ষেপ ছিল না তার। কিন্তু একটা সময়ে তিনি বুঝলেন বিশাল বড় ভুল হয়ে গেছে। তিনি তার স্বামীর সঙ্গে ১০ মিনিটও হাঁটতে পারতেন না। ৩০ বছর বয়সী প্রজ্ঞার জন্য এটাই সবচেয়ে বড় ধাক্কা।

এর পর থেকে তিনি তার ফিটনেস যাত্রা শুরু করেন এবং মাত্র ১০ মাসে ২১ কেজি ওজন কমিয়েছেন। 
 
প্রজ্ঞা বলেন, ‘আমি সবসময় মজা করতাম যে ব্যায়াম করা আমার জিনিস নয়। আমি শারীরিক কসরত করতে ভয় পেতাম, ফাস্ট ফুডে আসক্ত ছিলাম এবং একই সঙ্গে খুব অলসও ছিলাম। এই সব অস্বাস্থ্যকর অভ্যাসের কারণে আমার ওজন অনেকটাই বেড়ে যায়। একটা সময় এসেছিল যখন আমি আমার স্বামীর সঙ্গে ১০ মিনিটও হাঁটতে পারিনি। আমরা বেড়াতে গিয়েছিলাম। আমাদের সব বন্ধুরা সঠিক সময়ে গন্তব্যে পৌঁছে গেলেও আমার ফিরতে দেরি হয়ে যায়। আমার তখন খুব খারাপ লাগতে শুরু করে। এটা আমার জীবনের টার্নিং পয়েন্ট।

কেমন ছিল তার ডায়েট?

সকালের পানীয়-সাধারণ পানি

সকালের নাশতা-ইডলি-সাম্বার/ বেসন চিলা/ পনির পরোটা/ মুগ ডাল চিলা

মধ্যাহ্নভোজ-মসুর ডাল, সাদা ভাত, সবজি, রুটি, সালাদ

নাশতা-ছানা চাট/চিনাবাদাম চাট

রাতের খাবার-সাম্বার/খিচুড়ি/ঘরে তৈরি স্যান্ডউইচ/ঘরে বানানো পিজ্জা পনিরের সঙ্গে ইডলি।

প্রি-ওয়ার্কআউট খাবার-মৌসুমী ফল

পোস্ট ওয়ার্কআউট খাবার-প্রোটিন শেক এবং সেদ্ধ আলু

weightওয়ার্কআউট পদ্ধতি

ওজন কমানোর যাত্রার দ্বিতীয় মাসে, প্রজ্ঞা তার ওয়ার্কআউট রুটিনে জগিং এবং ৩০ মিনিট যোগব্যায়াম যোগ করতেন। তৃতীয় মাসে, তিনি তার ওয়ার্কআউট রুটিন বেড়ে হয় ৬০ মিনিট। তিনি বলেন, এই সময়টা আমি অনুভব করতে শুরু করি।

গোপন ফিটনেস

প্রজ্ঞার জন্য জীবন মানে ভারসাম্য। তার মতে, যেকোনো কিছুর আধিক্য ক্ষতিকর, তাই খাবার হোক বা ব্যায়াম হোক উভয় ক্ষেত্রেই সংযম প্রয়োজন।

ডায়েট টিপস

প্রজ্ঞা বলেন, ‘ওজন কমানোর যাত্রায় আমি কোনও খাবার খাওয়া বন্ধ করিনি। আমি পনির থেকে ভাত, আলু, আম সবকিছুই উপভোগ করেছি। ওজন কমানোর সময় আমি নিয়মিত ৪ লিটার পানি পান করতাম।’ 

​লাইফস্টাইলে কী কী পরিবর্তন করেছেন?

প্রজ্ঞা বলেন ‘আমি প্রথমে জাঙ্ক এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়া ৫০ শতাংশ কমিয়ে দিই। প্রতিদিন ১৫ মিনিটের জন্য ধীর গতিতে হাঁটা শুরু করি। এই দুইটি জিনিস করে আমার শরীরে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে। আমার শক্তি এবং সহনশীলতাও বাড়তে শুরু করে। দ্বিতীয় মাসে, আমি আমার শরীরের প্রয়োজন অনুযায়ী একটি সুষম খাদ্য পরিকল্পনা করেছি। খাদ্যদ্রব্য ছাড়া আর কিছু খাওয়া ছেড়ে দেইনি। আমার চারপাশের লোকেরা এখনও বিশ্বাস করতে পারে না যে আমি সেই মেয়ে যে ১৫ মিনিটও হাঁটতে পারত না, এখন সে ঘণ্টার পর ঘণ্টার দৌড়াতে পারে।

এজেড