images

লাইফস্টাইল

ডায়াবেটিস এর স্বাভাবিক মাত্রা কত? 

লাইফস্টাইল ডেস্ক

১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৪১ পিএম

দিন দিন বেড়েই চলেছে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা। আজ ১৪ নভেম্বর বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস। বিশ্বজুড়ে রোগটি সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে দিবসটি পালিত হয়। অনেকে জানতে চাই ডায়াবেটিসের স্বাভাবিকের মাত্রা কত? ব্লাড সুগারের মাত্রা কত হলে বলা যায় কারোর ডায়াবেটিস হয়েছে। এই প্রতিবেদনে জানুন উত্তর- 

ডায়াবেটিস শনাক্তের সবচেয়ে সঠিক এবং বহুল ব্যবহৃত পদ্ধতি হলো ওরাল গ্লুকোজ টলারেন্স টেস্ট বা ওজিটিটি। এই পদ্ধতিতে রোগীকে সকালে খালি পেটে একবার রক্তে গ্লুকোজ পরীক্ষা করতে হয়। এরপর ৭৫ গ্রাম গ্লুকোজ শরবত পান করে তার দুই ঘণ্টা পর আরেকবার রক্তে গ্লুকোজ পরীক্ষা করা হয়। এই পদ্ধতিতে নির্ভুলভাবে ডায়াবেটিস ও প্রি-ডায়াবেটিস নির্ণয় করা যায়।

diabetes4

তবে এই পরীক্ষা করতে গিয়ে অনেকেই ঝামেলায় পড়েন। কারণ কমপক্ষে আট ঘণ্টা না খেয়ে সকালে রক্তের নমুনা দিতে হবে। আবার ২ ঘণ্টা পর নমুনা দিতে হবে। মাঝের ২ ঘণ্টা ল্যাবে বসে কাটাতে হবে। তাছাড়া গ্লুকোজ শরবতও অনেকে পান করতে চান না। তাই বিজ্ঞানীরা আরও সহজ কোনো উপায় খুঁজছিলেন। 

বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে বর্তমানে ডায়াবেটিস শনাক্তকরণের জন্য এইচবিএ১সি নামের পরীক্ষা করা হয়। রক্তে শর্করার কয়েক মাসের গড় জানা যায় এর মাধ্যমে। এই পরীক্ষা দিনের যেকোনো সময় করা যায় এবং রক্তের নমুনা একবারই দিতে হয়।

diabetes5

ডায়াবেটিস এর স্বাভাবিক মাত্রা 

আমেরিকান ডায়াবেটিক অ্যাসোসিয়েশনের গাইডলাইন অনুযায়ী এইচবিএ১সির মান যদি ৫.৭-এর নিচে থাকে তাহলে তাকে স্বাভাবিক ধরা যায়। এই মাত্রা ৬.৫-এর বেশি হলে ডায়াবেটিস আছে বলে ধরা হবে। আর মান যদি ৫.৭ থেকে ৬.৫-এর মধ্যে থাকে তাহলে তা প্রি-ডায়াবেটিস বা ডায়াবেটিসের পূর্বাবস্থা হিসেবে বিবেচনা করতে হবে।

তবে পরীক্ষা ভালো মানের ল্যাবরেটরিতে এইচবিএ১সি নির্দেশিত পদ্ধতিতে করতে হবে। কারো বংশগত রক্তরোগ থাকলে বা রক্ত ভেঙে যাওয়ার সমস্যা থাকলে এই পরীক্ষায় সঠিক ফল নাও মিলতে পারে। ডায়াবেটিস নির্ণয়ে এই পরীক্ষার ব্যবহার করা হয় না। 

diabetes6

একজন সুস্থ মানুষের ৪০ বছর বয়সের পর স্থূলতা, ডায়াবেটিসের পারিবারিক ইতিহাস এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যঝুঁকি থাকলে নিয়মিত ডায়াবেটিস স্ক্রিনিং করা উচিত। ওরাল গ্লুকোজ টলারেন্স টেস্ট কিংবা এইচবিএ১সি পরীক্ষার মাধ্যমে দেখে নিন ডায়াবেটিসের মাত্রা কত আছে। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। 

এনএম