ফিচার ডেস্ক
১৩ নভেম্বর ২০২৪, ০১:১৯ পিএম
তার লেখার গভীরতায় হারিয়ে যায় শত শত পাঠক। নিজেকে তুলনা করে ফেলে কোনো চরিত্রের সঙ্গে। তিনি যখন লেখেন তা হয় মুক্তার মালার মতো। যে মালা কারিগর সযত্নে একেক পর এক সাজিয়ে বানিয়েছেন। তার লেখা বই শুরু করলে ভুলে যেতে হয় নাওয়া খাওয়া। বইয়ের মাঝে ডুব দিয়ে তা শেষ করা চাই। আর শেষ করার পর ভীষণ অস্বস্তি। এমনটা না হলেও পারতো!
পাঠককে বইয়ের সঙ্গে আষ্টেপৃষ্ঠে বাঁধা এই কারিগর হুমায়ূন আহমেদ। লেখক জগতে যিনি এক জাদুকর। তার অনবদ্য লেখায় মানুষ হাসে, কাঁদে। তিনি দূর আকাশের নক্ষত্র হয়ে গেলেও তার লেখা বই আজও পাঠক বুক আগলে রাখে। আজ ১৩ নভেম্বর নন্দিত কথাসাহিত্যিক, নাট্যকার ও চলচ্চিত্র নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদের ৭৬তম জন্মদিন।
ভালোবাসাকে নানা রূপে দেখেছেন হুমায়ূন আহমেদ। তার লেখা বইগুলোতে মেলে ধরেছেন সেই রূপ। ভালোবাসা নিয়ে তার কিছু বিখ্যাত উক্তি চলুন জেনে নিই-
অপেক্ষা বইতে তিনি লিখেছেন, “পৃথিবীর সবচেয়ে আনন্দময় জিনিসগুলির জন্যে কিন্তু টাকা লাগে না। বিনামূল্যে পাওয়া যায়। যেমন জোছনা, বর্ষার দিনের বৃষ্টি, মানুষের ভালোবাসা”।
এইসব দিনরাত্রি বইয়ে হুমায়ূন আহমেদ লিখেছেন, “প্রত্যেক ভালোবাসায় দুইজন সুখী হলেও তৃতীয় একজন অবশ্যই কষ্ট পাবেই, এটাই হয়তো প্রকৃতির নিয়ম”।
এপিটাফ বইয়ে লেখক বলেছেন, “ভালোবাসা যদি তরল পানির মতো কোন বস্তু হতো, তাহলে সেই ভালোবাসায় সমস্ত পৃথিবী তলিয়ে যেত। এমন কী হিমালয় পর্বতও!”
এই মেঘ, রৌদ্রছায়া বইয়ে হুমায়ূন আহমেদ লিখেছেন, “কাউকে প্রচণ্ডভাবে ভালোবাসার মধ্যে এক ধরনের দুর্বলতা আছে। নিজেকে তখন তুচ্ছ এবং সামান্য মনে হয়। এই ব্যাপারটা নিজেকে ছোট করে দেয়।”
এপিটাফ বইয়ে তিনি আরও লিখেছেন, “ভালোবাসাবাসির জন্যে অনন্তকালের প্রয়োজন নেই, একটি মুহূর্তই যথেষ্ট।”
হুমায়ূন আহমেদ প্রেমের সংজ্ঞা দিয়েছেন ঠিক এভাবে- "প্রেমে পড়া মানে নির্ভরশীল হয়ে পড়া। তুমি যার প্রেমে পড়বে সে তোমার জগতের একটা বিরাট অংশ দখল করে নেবে। যদি কোনো কারণে সে তোমাকে ছেড়ে চলে যায় তবে সে তোমার জগতের ঐ বিরাট অংশটাও নিয়ে যাবে। তুমি হয়ে পড়বে শূন্য জগতের বাসিন্দা।"
এনএম