লাইফস্টাইল ডেস্ক
১২ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৪২ পিএম
প্রায়ই সিনেমা কিংবা চলচ্চিত্রে দেখা যায়, বিজ্ঞানীরা যখন মানুষের প্রয়োজনীয় কোনো ওষুধ বা থেরাপি আবিষ্কার করেন তখন প্রথমে তা ইঁদুরের ওপর প্রয়োগ করেন। কেবল পর্দায় নয়, বাস্তবেও এমনটা ঘটে। বিজ্ঞানীরা ল্যাবে মানুষের জন্য প্রয়োজনীয় যেকোনো গবেষণা আগে ইঁদুরের ওপরই করে থাকেন।
কখনও কি মনে প্রশ্ন জেগেছে কেন এমনটা করেন তারা? ইঁদুরের ওপর কেন প্রথম পরীক্ষা করা হয়? আজ চলুন সত্যটা জেনে নেওয়া যাক-

মানুষের ওপর কোনো গবেষণা চালানোর আগে এটি প্রথমে ইঁদুরের উপর পরীক্ষা করা হয়। যদিও বাহ্যিকভাবে মানুষ ও ইঁদুর একে অপরের থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন। জৈবিকভাবেও মানুষের সঙ্গে ইঁদুরের তেমন মিল নেই। তবে একটি বিষয়ে দুটো প্রাণীর মধ্যে মিল রয়েছে। আর তা হলো ডিএনএ।
এবিসি ১০ ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক খবরে বলা হয়, আমেরিকার ফাউন্ডেশন ফর বায়োমেডিক্যাল রিসার্চের মতে, মানুষ ও ইঁদুর জেনেটিক দিক থেকে একে অপরের সঙ্গে অনেকটাই সাদৃশ্যপূর্ণ।

এফবিআরের মতে, ৯৫ শতাংশ ল্যাবের প্রাণী, বিশেষত ইঁদুর গবেষণার জন্যই জন্মানো হয়। বেশিরভাগ ল্যাব ইঁদুর যারা মেডিকেল ট্রায়ালে ব্যবহৃত হয়। এরা ইনব্রিড হয়ে থাকে, যা মেডিকেল পরীক্ষার ফলাফলকে ধারাবাহিক করে তোলে।
গবেষণায় ইঁদুর ব্যবহার করা হয় কারণ জেনেটিক, জৈবিক ও আচরণগত দিক থেকে তারা অনেকাংশে মানুষের মতো। মানুষের নানা শারীরিক সমস্যার লক্ষণ ইঁদুরের মধ্যেও দেখা যায়।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইঁদুর ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প নেই যা দিয়ে ল্যাব পরীক্ষাগুলো সঠিকভাবে করা সম্ভব। কম্পিউটার মডেল, সেল কালচার এবং অন্যান্য গবেষণা পদ্ধতি প্রাণীর ব্যাবহারের প্রয়োজন অনেকটা কমিয়েছে। কিন্তু এটি পুরোপুরি প্রতিস্থাপন করতে পারে না।
মনে করা হয়, ইঁদুরের ওপর পরীক্ষার ফলাফল দ্রুত প্রভাব ফেলে। এই কারণেই তাদের উপর পরীক্ষা চালানো হয়। এছাড়াও, ইঁদুরের রক্ষণাবেক্ষণ সহজ হওয়ায় বিজ্ঞানীরা তাদেরকেই বেছে নেন।
এনএম