লাইফস্টাইল ডেস্ক
০৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:০৫ পিএম
পুষ্টিকর ফল কলা। এতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি, পটাশিয়াম আছে যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। পুষ্টির ঘাটতি মেটাতে কিংবা শরীর দুর্বল হয়ে পড়লে তাই কলা খাওয়া পরামর্শ দেওয়া হয়। তবে যেকোনো কিছুই খেতে হয় পরিমাপ মতো।
পুষ্টিবিদদের মতে, কলা খুবই উপকারী ফল। কিন্তু দিনে ২/৩টির বেশি খাওয়া উচিত নয়। কলাতে আছে ভিটামিন সি, ভিটামিন বি৬, পটাশিয়াম, ফাইবার ইত্যাদি। ১টি কলা থেকে ৬৫ কিলো ক্যালোরি পাওয়া যায়। একটি মাঝারি মাপের কলায় থাকে ০.১ গ্রাম ফ্যাট, ১ গ্রাম প্রোটিন, ১৬.২ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ২৬৪ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম ও ১.১ গ্রাম ফাইবার। তাই দিনে ২টি থেকে ৩টি কলা খেলেই যথেষ্ট। এর বেশি বেশি খেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।

অতিরিক্ত কলা খেলে শরীরের কী কী ক্ষতি হতে পারে? চলুন জেনে নিই বিস্তারিত-
ওজন বৃদ্ধি
কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার যা মেদ ঝরাতে সাহায্য করে। কিন্তু বেশি কলা খেলে শরীরে ফাইবারের মাত্রা বেড়ে যায়। তখন ওজন কমার বদলে বাড়তে শুরু করবে। কলাতে প্রচুর শর্করাও থাকে। ফলে অতিরিক্ত কলা খেলে পেট-কোমরের মেদ বাড়ে।

কোষ্ঠকাঠিন্য
কলায় রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে স্টার্চ। এই উপাদানটি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বাড়াতে পারে। এছাড়াও কলাতে রয়েছে ট্যানিক অ্যাসিড, যা বেশি পরিমাণে শরীরে ঢুকলে হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা রয়েছে তারা দিনে দুটির বেশি কলা খাবেন না।
ডায়াবেটিস
কলার ‘গ্লাইসেমিক ইনডেক্স’ উপরের দিকেই। এতে এত বেশি মাত্রায় শর্করা আছে যে রোজ প্রচুর পরিমাণে কলা খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। তাই ডায়াবেটিস থাকলে রোজ কলা না খাওয়াই ভালো।

হাইপারক্যালেমিয়া
প্রতিদিন কলা খেলে শরীরে পটাশিয়ামের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। বিজ্ঞানের ভাষায় একে 'হাইপারক্যালেমিয়া' বলে। এই রোগে আক্রান্ত হলে কিডনি বিকল হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। তাই কিডনির সমস্যা থাকলে কলা খাওয়া উচিত নয়। এছাড়া প্রয়োজনের অতিরিক্ত পটাশিয়াম শরীরে ঢুকলে ক্ষতি হতে পারে পেশি ও স্নায়ুরও।
মাইগ্রেন
কলাতে রয়েছে টাইরামাইন নামক এক ধরনের যৌগ। এটি বেশি মাত্রায় শরীরে গেলে মাইগ্রেনের সমস্যা ভোগাতে পারে। তাই মাইগ্রেনের সমস্যা থাকলে কলা কম খাওয়াই ভালো।
কলা শরীরের জন্য উপকারি। তবে তা পরিমিত পরিমাণে খান।
এনএম