সাধারণ সর্দি-কাশি না কি ফুসফুসের সংক্রমণ বুঝবেন যেভাবে? 

বুকে হালকা ব্যথা কিংবা মাঝেমধ্যে ঠান্ডা লাগার মতো সমস্যা। এমন উপসর্গগুলোকে বেশিরভাগ মানুষই অবহেলা করেন। কিন্তু অনেকসময় এই উপসর্গগুলো ফুসফুসে সংক্রমণের আভাস দেয়। করোনা পরবর্তী সময়ে চিকিৎসকরা বারবার ফুসফুসের প্রতি বাড়তি যত্ন নেওয়ার কথা বলছেন। যেকোনো সংকেত পেলেই সতর্ক হতে হবে। 

ফুসফুসের সংক্রমণ রোধে ছোটোখাটো বিষয়গুলোকেও নজরে রাখতে হবে। ধূমপানের অভ্যাস ব্যতীত বুকে ব্যথা হলেও সতর্ক থাকতে হবে। কোন লক্ষণগুলো ফুসফুসের জটিলতার লক্ষণ প্রকাশ করে চলুন জেনে নিই- 

কাঁধ-পিঠে তীব্র যন্ত্রণা 

রোজ ঘুম থেকে উঠেই কি কাঁধ-পিঠে তীব্র যন্ত্রণা হয়? এমনটা হলে বুঝতে হবে, এ সাধারণ ক্লান্তি নয়। অনেক সময়েই শরীরের এক অংশে সমস্যা হলে একেবারে অন্য কোনো অঙ্গে অসুবিধা দেখা দেয়। এই ধরনের ব্যথাকে চিকিৎসা পরিভাষায় ‘রেফার্ড পেইন’ বলে।

ঘন ঘন সর্দি-কাশি 

ঘন ঘন সর্দি-কাশি হচ্ছে? এমনটাও কিন্তু স্বাভাবিক নয়। কিছু দিন অন্তর ঠান্ডা লাগলে, সর্দি-কাশিতে কাবু হলে বুঝতে হবে শরীরের ভিতরে কোনও সমস্যা আছে। অনেকের আবার কাশি হলে সহজে সারতে চায় না। এমন প্রবণতা দেখলে সাবধান হওয়া জরুরি। এটি শ্বাসযন্ত্রের সমস্যার লক্ষণ হতে পারে।

শ্বাস নিতে কষ্ট 

শ্বাস নিতে গেলেই খুব কষ্ট হচ্ছে? এমন সমস্যাও অবহেলা করার মতো নয়। দীর্ঘদিন এমন হলে বুঝতে হবে ফুসফুসের ভেতরে কোনো সমস্যা আছে। ফুসফুসের আশপাশে প্রদাহ সৃষ্টি হলে বা সংক্রমণ হলে এমন অনেক সময়েই হতে পারে। সর্ব ক্ষণ ক্লান্ত লাগলে যেমন উদ্বেগ, অবসাদের মতো সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা থাকে, তেমন অন্য অসুখও হতে পারে। ফুসফুস ঠিক ভাবে কাজ না করলে শরীরে পর্যাপ্ত অক্সিজেন ঢোকে না। তা থেকেও ক্লান্তি আসতে পারে। তাই সতর্ক থাকুন।

গলার আওয়াজে পরিবর্তন 

গলার আওয়াজ কি অন্য রকম লাগছে? সর্দি-কাশি হলে এমন সমস্যা হতেই থাকে। কিন্তু দিনের পর দিন এমনটা চলতে থাকলে তা ক্যানসারের লক্ষণও হতে পারে।

অতিরিক্ত কাশি 

কাশি কিছুতেই কমছে না? কফের সঙ্গে রক্তপাত হচ্ছে? এমনটা হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। ফুসফুসে সংক্রমণ হলে বা কর্কট রোগ বাসা বাঁধলে এমনটা হতে পারে।

এনএম