images

লাইফস্টাইল

ভাই-বোনের সঙ্গে সারাক্ষণ ঝগড়া লেগে থাকে? সম্পর্ক ভালো করার উপায়

লাইফস্টাইল ডেস্ক

০৬ জুলাই ২০২৪, ১২:০০ এএম

অনেক পরিবারের ভাই-বোনের সঙ্গে মনোমালিন্য হয়ে থাকে। তবে ঝগড়া-ঝাটি হলেও আমাদের সবথেকে কাছের বন্ধুও কিন্তু তারাই। তাই হেলায় তাদের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হতে দিলে চলবে না। বরং সময় মতো হাল ধরতে হবে সম্পর্কের। তবেই দুই জনের মধ্যেকার দূরত্ব কমবে। জানুন ভাই-বোনের মধ্যে সম্পর্ক মজবুত করার উপায়।

তবে ভাই-বোনেদের মধ্যে যেমন ভালোবাসা থাকে অটুট। তেমনই মারপিট, মান-অভিমানের পালা চলে দীর্ঘদিন ধরে। মা-বাবা কাকে বেশি ভালোবাসেন, তা নিয়ে তো ছেলেবেলায় একেবারে কুরুক্ষেত্র বেঁধে যায়। তবে বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মান-অভিমানের কারণও বদলে যায়। তখন সম্পর্কে ম্যাচুরিটি আসে। তবে বিভিন্ন কারণে দূরত্বও তৈরি হয় এই সবথেকে কাছের বন্ধুর সঙ্গে। তবে এই দূরত্ব কমানোর কিছু উপায়ও রয়েছে। 

siblings

খোলাখুলি কথা বলুন

যেকোনও সম্পর্কেরই ভিত কমিউনিকেশন। একমাত্র কার্যকরী কমিউনিকেশনই কোনও ডুবতে থাকা সম্পর্ককে ফের বাঁচিয়ে তুলতে পারে। তাই রাগে মুখ ফুলিয়ে বসে না থেকে ভাই-বোনের সঙ্গে গিয়ে কথা বলুন। সম্পর্কে ট্র্যাকে ফেরাতে কোনও একজনকে তো এগিয়ে এসে অন্যজনের রাগ ভাঙাতেই হবে। আর একবার দু'জনের মধ্যে কথা শুরু হলে সব স্বাভাবিক হয়ে যাবেই।

​স্মৃতি ঘেটে দেখুন​

সদ্য ভাই-বোনের জীবনে কোনও বড় পরিবর্তন এসেছে? তার প্রভাব পড়েছে আপনাদের সম্পর্কেও? তাই একে অপরকে হয়তো আগের মত সময়ও দিতে পারছেন না। তাতে ভাই-বোনের মধ্যে কেবল দূরত্ব বাড়ছে ধীরে ধীরে। একজন মনে করছেন অন্যজনের জীবনে হয়ত তার গুরুত্ব হারিয়েছে।

siblings2

এমন পরিস্থিতিতে একটু স্মৃতি ঘেটে দেখুন। আগে কেমন দুই জনে বেঁধে বেঁধে থাকতেন। আপনার একটু চোট লাগলে কীভাবে পাগলের মতো করতেন আপনার ভাই বা বোন। কতটা আগলে রাখলে এমনটা হতে পারে সেটাই ভাবুন। এসব পুরনো স্মৃতিই মনে করিয়ে দেবে আপনারা একে অপরের কতটা কাছের।

একসঙ্গে সময় কাটান

বর্তমানে সকলেই ব্যস্ত। কাজের জায়গায় ১০-১২ ঘণ্টা কাটানোর পর পরিবারের মানুষগুলোর সঙ্গে সেইভাবে সময় কাটানো হয় না। ফলে একটা ফাঁকা জায়গা তৈরি হয়ই। সময় দেওয়া হয় না বাড়িতে থাকা সেই প্রিয় বন্ধুকেও। এর কারণেও দূরত্ব বাড়ে। তাই ছুটির দিনেই একসঙ্গে সময় কাটান কিছুক্ষণ।

আরও পড়ুন: মুখোশধারী বন্ধু চিনবেন কী করে? 

একসঙ্গে ঘর সাজিয়ে ফেলতে পারেন। আবার রান্নাও করতে পারেন দুইজনে মিলে। এতে একসঙ্গে অনেকটা সময় কাটানোও হবে। আবার সারা সপ্তাহের জমে থাকা কথা এই কাজগুলো করতে করতেই বলা হয়ে যাবে। আর ভাই-বোনের সম্পর্কও আরও গাঢ় হবে।

singlins

সারপ্রাইজ বড় ফ্যাক্টর

কাজের সূত্রে ভাই বা বোন অন্য শহরে থাকে? সেজন্যও কি দূরত্ব বেড়েছে? তাহলে আপনিই দূরত্ব কমিয়ে নিন সারপ্রাইজ দিয়ে। না জানিয়েই তার শহরে হাজির হয়ে যান। আপনাকে দেখে চমকে যাবেন তিনি। তারপর দুই জনে নির্ভেজাল সময় কাটান কিছুদিন। শৈশবের স্মৃতিগুলো ঝালিয়ে নিন। সঙ্গে সম্পর্কের বাঁধনও মজবুত করে নিন।

কঠিন সময়ে পাশে থাকুন

বাড়িতে ভাই-বোন থাকার অনেক সুবিধাও রয়েছে। আপৎকালীন সময়ে কোনও বড় সিদ্ধান্ত একসঙ্গে নেওয়া যায়। যে কোনও কঠিন সময়ে তাকে পাশে পাওয়া যায়। তাই এমন সাপোর্টকে কখনও হেলায় হারাবেন না। বরং তিনি কোনও চ্যালেঞ্জিং সময়ের মধ্যে দিয়ে গেলে তার হাত শক্ত করে ধরে থাকুন। তাকে বুঝতে দিন সবাই ছেড়ে গেলেও আপনি তাঁর পাশে রয়েছেন। এসব মেনে চললেই ভাই-বোনের মধ্যেকার দূরত্ব নিমেষে ঘুচে যাবে। 

এজেড