লাইফস্টাইল ডেস্ক
০৫ জুন ২০২৪, ০৫:৪৯ পিএম
কিডনিতে পাথর হওয়ার ব্যাপারটি কারো অজানা নয়। বর্তমানে অনেকেই এই রোগে ভুগে থাকেন। কিন্তু জানেন কি, কেবল কিডনি নয়, শরীরের আরও অনেক জায়গায়ও পাথর তৈরি হয়। চলুন এসম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক-
কিডনিতে পাথর
বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রস্রাবে ক্যালসিয়াম, অক্সালেট ও ফসফরাসের মাত্রা বেড়ে গেলে এগুলো পাথরে রূপ নিতে পারে। এভাবেই কিডনিতে পাথর হতে পারে। সাধারণত কিডনিতে হওয়া পাথর এক মিলিমিটার থেকে এক সেন্টিমিটার হয়।

গল ব্লাডারে পাথর
কিডনি ছাড়াও গল ব্লাডারে পাথর হতে পারে। বাংলায় একে পিত্তথলি বলা হয়। বিবিসির এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, পিত্ততে থাকা কোলেস্টেরল বা পিগমেন্টের কারণে পিত্তথলিতে পাথর তৈরি হয়। এই অঙ্গে এক বা একাধিক পাথর হতে পারে।
টনসিলে পাথর
মানবদেহের টনসিলেও পাথর হতে পারে। গলার পিছনে রয়েছে টনসিল গ্রন্থি, যা লিম্ফয়েড টিস্যু দিয়ে তৈরি। টনসিলের অভ্যন্তরে গহ্বর (পিট) থাকে। একে ‘ক্রিপ্ট’ বলে। অনেকসময় এই ‘ক্রিপ্টস’-এ পাথর তৈরি হতে থাকে। একে টনসিল পাথর বা টনসিলোলিথ বলে।

নাভিতে পাথর
জানলে অবাক হবেন, নাভিতেও পাথরও হতে পারে। একে ‘ওমফালোলিথ’ বলা হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, অনেকসময় চামড়ার টুকরো নাভিতে জমে পাথরের মতো শক্ত হয়ে যায়।
একইভাবে কারো কারো পায়ুপথেও পাথর হতে পারে। একে ‘কপ্রোলাইট’ বলা হয়।