images

লাইফস্টাইল

শিশুদের উচ্চ রক্তচাপ হলে যেসব লক্ষণ দেখা যায়

লাইফস্টাইল ডেস্ক

১৮ মে ২০২৪, ১০:৩১ এএম

images

বড়দের মতো ছোটদেরও উচ্চ রক্তচাপ হতে পারে। কিন্তু বাবা-মায়েরা সেটা আগেভাগে বুঝতে পারেন না। আসলে আমরা অনেকেই মনে করি উচ্চ রক্তচাপ কেবল বয়স্কদেরই হয়। 

তাই পরিস্থিতি হাতের বাইরে যাওয়ার আগেই বাচ্চাদের মধ্যে ব্লাড প্রেশারের লক্ষণ সম্পর্কে জেনে নিন। আশা করছি, তাহলেই আপনি সন্তানের সমস্যাকে তাড়াতাড়ি ধরে ফেলতে পারবেন। তারপর দ্রুত শুরু হয়ে যাবে তার চিকিৎসা।

ভাবছেন নিশ্চয়ই, সন্তানের শরীরে ঠিক কোন কোন লক্ষণ দেখবে বুঝতে পারবেন তার পিছু নিয়েছে উচ্চ রক্তচাপ?

এইসব উপসর্গ দেখলেই সাবধান​

সন্তানের মাথা ব্যথা করলে, চোখে আবছা দেখলে, তার মাথা ঘুরলে, নাক দিয়ে রক্ত পড়লে, হৃদগতি খুব বেড়ে গেলে অবশ্যই একবার চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। কারণ এই সমস্যার পিছনে হাই ব্লাড প্রেশারের মতো জটিল অসুখ থাকলেও থাকতে পারে।

child_pic

তবে অনেক ক্ষেত্রেই বাচ্চাদের শরীরে এই রোগের কোনও লক্ষণ দেখা যায় না। কিন্তু তলেতলে বাড়তে থাকে সমস্যা। তাই সন্তানের শরীরে লক্ষণ থাকুক না থাকুক, নিয়মিত ব্লাড প্রেশার মাপা জরুরি।

​বিপদ অনেক

​বাচ্চাদের হাই ব্লাড প্রেশারকে একদমই অবহেলা করবেন না। এই ভুলটা করলে কিন্তু তার হার্টের ভয়াবহ ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। এমনকি জটিলতার মুখে পড়তে পারে কিডনি, চোখ সহ দেহের একাধিক অঙ্গ। তাই সন্তানের শরীরে ব্লাড প্রেশারের কোনও লক্ষণ দেখলেই দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। তার পরামর্শ মেনে ছোট্ট সোনাকে ওষুধ খাওয়ান। তাতেই কিন্তু উপকার পাবেন।

আরও পড়ুন: শিশুর দাঁতের জোর বাড়ায় এসব খাবার

​কারণ খুঁজে বের করা জরুরি​

রক্তচাপ বাড়ার পিছনে অন্য কোনও রোগ না থাকলে তাকে বলা হয় প্রাইমারি হাইপারটেনশন। অপরদিকে কিডনির অসুখ, হরমোনজনিত সমস্যা, রক্তনালীর সমস্যা, ফুসফুসের অসুখ, হার্টের সমস্যা এবং কিছু ওষুধের কারসাজিতে অনেক সময় প্রেশার বাড়ে। আর এই সমস্যার নাম হল সেকেন্ডারি হাইপারটেনশন। তাই সবার প্রথমে একজন চিকিৎসক ঠিক কী কারণে প্রেশার বেড়েছে, সেই দিকটি খুঁজে বের করেন। তারপর শুরু হয় চিকিৎসা।

child

জীবনযাত্রায় বদল আনুন​

​সন্তানের ব্লাড প্রেশার বাড়লে তাকে ভুলেও লবণ খাওয়াবেন না। এমনকি পারলে তার ফাস্টফুড খাওয়ার লোভ সামলে নিতে হবে। বদলে তার পাতে জায়গা করে দিন শাক, সবজি এবং ফল। তাতেই উপকার পাবেন হাতেনাতে।

এর পাশাপাশি সন্তানকে রোজ কিছুটা সময় ব্যায়াম করাতে হবে। আর সে ব্যায়াম করতে না চাইলে ফুটবল, ক্রিকেট খেলতে দিন। কিংবা তাকে সাইকেল চালাতে বা সাঁতার কাটতেও দিতে পারেন। তাতেই উপকার পাবেন হাতেনাতে।

এজেড