লাইফস্টাইল ডেস্ক
০৭ মে ২০২৪, ০৬:০২ পিএম
সকালের ডিটক্স পানীয় থেকে শুরু করে তরকারি কিংবা মাংসের কোনো পদ— সবকিছুতেই নিজের সরব অবস্থান নিশ্চিত করে আদা। ঝাঁঝালো স্বাদের মসলাটির উপকারিতার শেষ নেই। বমি ভাব, মাথাব্যথা, ডায়েরিয়া, সর্দি-কাশি, ঋতুস্রাবজনিত সমস্যা নিরাময়ে কার্যকরী ভূমিকা রাখে এটি।
আদায় আছে প্রয়োজনীয় কিছু অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান। সাম্প্রতিক কিছু গবেষণা অনুযায়ী, এসব উপাদান রক্তে ‘খারাপ’ কোলেস্টেরল কমাতে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে, এমনকি শর্করার মাত্রা স্বাভাবিক রাখতেও সাহায্য করে।
এই উপকারি আদাই কিন্তু ক্ষতির কারণ হতে পারে। অতিরিক্ত আদা খেলে বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দেয়। আবার এমন কিছু ওষুধ রয়েছে যার সঙ্গে আদা খেলে হিতে বিপরীত হতে পারে। চলুন বিস্তারিত জানা যাক-
রক্ত পাতলা করার ওষুধ
আদাতে থাকা কিছু উপাদান প্রাকৃতিকভাবেই ‘ব্লাড থিনার’ হিসাবে কাজ করে। তাই রক্ত পাতলা করার ওষুধের সঙ্গে আদা খাওয়া হলে তা হিতে বিপরীত হতে পারে।
ডায়াবেটিসের ওষুধ
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ইনসুলিন সেন্সিটিভিটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আদা এই কাজে সাহায্য করে। কিন্তু যারা দীর্ঘ দিন ধরে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার ওষুধ খাচ্ছেন, তাদের জন্য মসলাটি বিপদের কারণ হতে পারে। ওষুধ আর আদা একত্রে রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ করে কমিয়ে দিতে পারে।
উচ্চ রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখার ওষুধ
রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে অনেকেই নিয়মিত ওষুধ খান। এর সঙ্গে অতিরিক্ত আদা খেলে সমস্যা দেখা দিতে পারে। কারণ আদায় থাকা বেশ কিছু উপাদানও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করে। এক সঙ্গে দু’টি জিনিস রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে দেখা দিতে পারে জটিলতা।
রোজ কতটুকু আদা খাওয়া যাবে?
চিকিৎসকরা বলছেন, যেভাবেই আদা খান না কেন প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য তার পরিমাণ সর্বসাকুল্যে ৪ গ্রাম। অর্থাৎ সকালের আদা দেওয়া চা, তরকারি, মাছ-মাংসের পদ— সব মিলিয়ে ২ চা চামচের বেশি আদা খাওয়া চলবে না।