লাইফস্টাইল ডেস্ক
১৫ মার্চ ২০২৪, ০৩:৩৭ পিএম
দিনভর রোজা রাখার পর ক্লান্তি দূর করতে অনেকেই ইফতারে পান করেন মাঠা কিংবা ঘোল। চৈত্রের শুরুতে গরম একটু একটু করে বাড়ছে। তাই প্রশান্তি পেতে ইফতারে অনেকেই দুগ্ধজাত এই পানীয়তে ভরসা রাখছেন। স্বাভাবিকভাবেই অনেকের মনেই প্রশ্ন, মাঠা ও ঘোল খাওয়া স্বাস্থ্যকর। কী বলছেন পুষ্টিবিজ্ঞানীরা?
আরও পড়ুন: ইফতারে ছোলা খাওয়ার আশ্চর্যজনক উপকারিতা
পুষ্টিবিজ্ঞানীদের মতে, ইফতারে অল্প পরিমানে মাঠা ও ঘোল খাওয়া যেতে পারে। কিন্তু ভরপেট পান করা যাবে না। সেক্ষেত্রে রোজা ভাঙার সঙ্গে সঙ্গে এসব পানীয় দিয়ে উদরপূর্তি না করাই শ্রেয়। বরং হালকা খাবার খেয়ে তারপর পান করা যায়। তাও পরিমানে অল্প।

ঘোল ও মাঠার বেশ কিছু পুষ্টিগুণ রয়েছে। জানুন বিস্তারিত-
১. বদহজম দূর করে
রমজান মাসের শুরুতে অনেকেরই গ্যাস, অম্বল তথা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বাড়ে। এই সমস্যা দূর করতে ঘোল ও মাঠা ওষুধের মতো কাজ করে। ভরপেট খাওয়ার পর একগ্লাস ঘোল কিংবা বদহজমের সমস্যা জটজলদি মিটিয়ে দেয়। বদহজমের ফলে শারীরিক কষ্টও লাঘব করে নিমেষে।
২. পেট ঠান্ডা করে
মসলাদার খাবার খাওয়ার পর পেট ব্যথা বা শরীর হাঁসফাঁস করলে রেহাই দিতে পারে একমাত্র ঘোল ও মাঠা। পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ঝাল-মসলা খাওয়ার জেরে যে পেট জ্বালা করলে, ঘোল ও মাঠায় থাকা প্রোটিন সেই মশলাকে হজম করাতে সাহায্য করে। ফলে শরীরও চাঙ্গা হয়ে যায়।

৩. হজম ক্ষমতা বাড়ায়
ঘোলে ও মাঠায় থাকা মসলা হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। বিশেষ করে বদহজমের জেরে বারবার উদগার ওঠা থামিয়ে দেয়। অ্যাসিড কাটিয়ে পেট সুস্থ করে দেয়। রোজ খেতে পারলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বেড়ে যায়।
৪. ভরপুর ক্যালসিয়াম
প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য প্রতিদিন ১০০০ থেকে ১২০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম প্রয়োজন। তাহলে হাড় ও দাঁতের সমস্যা হয় না। এক কাপ দুধে ৩০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম থাকে। এক কাপ দই-তে থাকে ৪২০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম। কিন্তু এক কাপ ঘোল-মাঠায় থাকে ৩৫০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম। অর্থাত্ বড় গ্লাসে একগ্লাস ঘোল, মাঠা খেতে পারলে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হবে না।

৫. রোগা হতে সাহায্য করে
ঘোল ও মাঠা হজমশক্তি বাড়ায়। ফলে বাড়তি ফ্যাট শরীরে জমতে দেয় না। রোজ অনেকটা করে ঘোল খেলে ফ্যাট ধীরে ধীরে কমতে থাকে। এটা প্রমাণিত সত্য। নিজেকে চাঙ্গাও লাগে।
৬. পুষ্টিতে ঠাসা
ঘোল, মাঠা খেলে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হয় না, একই সঙ্গে এতে প্রচুর পুষ্টিকর উপাদানও থাকে। ঘোলে প্রচুর পরিমাণে পটশিয়াম ও ভিটামিন বি থাকে। একাধিক মিনারেলস ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্স সমৃদ্ধ ঘোল শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। ঘুমও ভালো হয়।

৭. কোলেস্টেরল, ব্লাড প্রেসার ও ক্যানসারের যম
ঘোল ও মাঠায় থাকে বায়োঅ্যাক্টিভ প্রোটিন কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দেয়। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ঘোলে থাকা নানা অ্যান্টিভাইরাল, অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল উপাদান ব্লাড প্রেসার কমায়। সঙ্গে ক্যানসারকেও রুখে দেয়।
এজেড