লাইফস্টাইল ডেস্ক
১৪ অক্টোবর ২০২৩, ০২:৫৮ পিএম
পুরুষ হোক বা নারী- মাথাভর্তি চুল থাকবে এমনটাই আশা করা হয়। কারো চুল হয় ঘন, কারো পাতলা। তবে এমনও কেউ কেউ থাকেন যাদের মাথার নির্দিষ্ট অংশ বা পুরোটাই চুলহীন থাকে। এমন পরিস্থিতিকে টাক বলা হয়।
টাক মাথা নিয়ে কম-বেশি বিড়ম্বনায় পড়তে হয় বেশিরভাগ মানুষকে। আবার কেউ মাথার চুল ফেললে তাকে শুনতে হয় ন্যাড়া, টাক্লা, টাকলু, চান্দু, ফুটবল মাঠ, ছাদ-বাম্পার খালি ইত্যাদি উপহাস। তবে বর্তমানে সময় বদলেছে। এখন টাককে স্বাভাবিকভাবেই গ্রহণ করা হয়। চুল সৌন্দর্যের অন্যতম একটি অংশ হলেও টাক মাথাও পুরুষের ব্যক্তিত্বের অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আপনি কি একজন টাক মাথার মানুষ? তবে আজকের দিনটি কিন্তু আনন্দে পালন করতে পারেন। যারা টাক হয়েছেন তাদের জন্য বিশেষ একটি দিন আজ।
প্রতিবছর ১৪ অক্টোবর বিশ্বজুড়ে পালিত হয় ‘বি বোল্ড অ্যান্ড বি ফ্রি ডে’। বাংলায় যার অর্থ দাঁড়ায় টাক হোন, মুক্ত থাকুন।

এটি শুরু করেছিলেন ওয়েলক্যাট হার্বসের প্রতিষ্ঠাতা, টমাস রায় এবং রুথ রায়। তবে এই দিবসটি প্রথম কবে উদযাপিত হয়েছিল তা জানা যায়নি। অবশ্য এই দুই ব্যক্তির দাবি, বি বোল্ড অ্যান্ড বি ফ্রি ডে অনেক পুরুষ ও নারীকে তাদের মাথা ন্যাড়া করতে এবং তাদের চেহারা নিয়ে গর্বিত হতে উৎসাহিত করেছে।
মানুষের মাথা ন্যাড়া বা টাক করার ইতিহাস কিন্তু বহু পুরোনো। প্রাচীন রোম ও মিসরের ধর্মগুরুরা মাথা ন্যাড়া করতেন। আবার অতিরিক্ত গরম থেকে বাঁচতে সাধারণ মানুষও মাথা ন্যাড়া করত।

১৯৫০ এর দশকের শেষের দিকে, ন্যাড়া মাথা হয়ে উঠেছিল ফ্যাশনের অংশ। তখন ন্যাড়া বা টাক মাথার পুরুষদের দেখা হতো সাহসী, আত্মবিশ্বাসী, কঠোর ও শৃঙ্খলাবদ্ধ হিসেবে। সেসময় অনেক অভিনেতা, রাজনীতিবিদ, সংগীতজ্ঞ এবং ক্রীড়া তারকারা টাক মাথাকে ফ্যাশন হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন।
১৯৯০ এর দশকে, মাইকেল জর্ডান, ইভান্ডার হলিফিল্ড, ব্রুস উইলিসের মতো বিখ্যাত ব্যক্তিরা ন্যাড়া মাথাকে স্টাইল বানিয়ে ফেলেছিলেন। এমনকি বর্তমানেও অনেক নামকরা ব্যক্তিকে টাক মাথায় দেখা যায়।

কেন দিবসটি পালন করা হয়?
যতই হাসি ঠাট্টা করা হোক বিশেষ এই দিবসটির মাধ্যমে একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেওয়া হয়। আমরা জানি, ক্যানসারের চিকিৎসায় কেমোথেরাপি দেওয়া হলে অনেকের মাথার চুল ঝরে যায়। ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীদের প্রতি সমর্থন ও সহানুভূতি জানাতে নানা দেশে নানা সময় মাথা ন্যাড়া করার প্রচলন হয়। বি বোল্ড অ্যান্ড বি ফ্রি ডে উদযাপন এমনই একটি প্রচার।
এনএম