images

লাইফস্টাইল

কফি না গ্রিন টি, স্বাস্থ্যের জন্য কোনটি ভালো

লাইফস্টাইল ডেস্ক

০২ অক্টোবর ২০২৩, ০৯:৩৬ এএম

যারা স্বাস্থ্য সচেতন তারা সাধারণত গ্রিন টি পান করেন। কেউবা কফির পেয়ালাতেও চুমুক দেন। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে স্বাস্থ্যের জন্য কোনটা ভালো?

​গ্রিন টির গুণের সীমা-পরিসীমা নেই​

আমাদের হাতের কাছে মজুত থাকা অন্যতম সেরা পানীয় হল গ্রিন টি। কারণ এতে রয়েছে ক্যাটেচিনস নামক অত্যন্ত উপকারী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা কিনা দেহের একাধিক সমস্যা সমাধানের কাজে সিদ্ধহস্ত।

জানলে অবাক হবেন, নিয়মিত গ্রিন টি-এর কাপে চুমুক দিলে বিপাকের হার বাড়ে। যার ফলে খুব সহজেই ওজনকে নিম্মমুখী করা সম্ভব হয়। শুধু তাই নয়, ব্লাড প্রেশার ও কোলেস্টেরলকে বশে রাখার কাজেও এর জুড়ি মেলা ভার। এমনকি নিয়মিত এই পানীয় গলায় ঢাললে সুস্থ-সবল থাকে হার্ট। তাই শরীরের হাল ফেরাতে গ্রিন টি খেতে ভুলবেন না যেন!

tea

​কফির জুড়ি মেলা ভার​

কফির মূল উপাদান হল ক্যাফিন। আর এই উপাদান কিন্তু এনার্জি বুস্ট করার কাজে সিদ্ধহস্ত। তাই প্রি ওয়ার্ক আউট ড্রিংকস হিসাবে কফিকে ডায়েটে জায়গা করে দিতেই পারেন।

শুধু তাই নয়, কফি কিন্তু ব্রেনের কার্যক্ষমতা বাড়ানোর কাজেও দারুণ কার্যকরী। তাই এই পানীয়ের কাপে চুমুক দেওয়ার পর ল্যাথার্জি কাটিয়ে দ্রুত কাজে মন বসানো যায়। এমনকি ডিমেনশিয়ার মতো ডিজেনারেটিভ ডিজিজের ফাঁদ এড়াতেও অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা নিতে পারে কফি। তাই যত দ্রুত সম্ভব এই পানীয়ের সঙ্গে সখ্যতা তৈরি করে নিন।

​কফি না গ্রিন টি, কোনটা খেলে ফিরবে স্বাস্থ্য?​

কফি ও গ্রিন টি, দুইয়ের নিজস্ব কিছু অনন্য গুণ রয়েছে। তাই এই দুইয়ের মধ্যে কোনও একটিকে আলাদা করে বেছে নেওয়া সম্ভব নয়। বরং যে যেই পানীয়ে অভ্যস্ত, তিনি তাই পান করুন। এতেই সুস্থ থাকতে পারবেন।

তবে এই প্রসঙ্গে একটা পরামর্শ দেওয়া যায় যে, গরমকালে কফির তুলনায় গ্রিন টি খাওয়া শরীরের জন্য একটু উপকারী। কারণ এতে শরীর ঠান্ডা থাকে। অপরদিকে শীতের দিনে কফি খেলেই চাঙ্গা থাকে শরীর। তাই সময় বিশেষে কফি ও গ্রিন টি বদলে বদলে খেতেই পারেন।

tea2

​দুধ মেশাবেন না​

কফি বা গ্রিন টি-তে দুধ মেশাবেন না। এই কাজটা করলে এই দুই পানীয়ের কোনও গুণই মিলবে না। তাই কফি বা গ্রিন টি দুধ ছাড়া পান করার চেষ্টা করুন।

ঠিক একই ভাবে এইসব পানীয়তে মিষ্টি বা চিনি মেশাবেন না। এতে কফি বা চায়ের গুণ তো কমবেই, পাশাপাশি বাড়বে ওজন। তাই সুস্থ থাকার ইচ্ছে থাকলে এইসব নিয়ম মেনে কফি পান করার চেষ্টা করুন।

দিনে কত কাপ কফি-গ্রিন টি খাবেন?

দিনে ২ থেকে ৩ কাপের বেশি চা বা কফি খাওয়া উচিত হবে না। এতে শরীরে ক্যাফিন ওভারডোজ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এর ফলে অনিদ্রা, গ্যাস, অ্যাসিডিটিসহ একাধিক রোগের ফাঁদে পড়ার আশঙ্কা বাড়বে বৈকি। তাই তো চা বা কফি পান করার সময় এই হিসেবটা মাথায় রাখতেই হবে। তবেই আপনি সুস্থ-সবল জীবন কাটাতে পারবেন।

এজেড