লাইফস্টাইল ডেস্ক
২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৫:৫১ পিএম
সময়ের সঙ্গে পরিবর্তিত হচ্ছে সবকিছু। নগরায়ণ আর প্রযুক্তির কারণে শহরগুলোতে বাড়ছে উঁচু বিল্ডিং এর সংখ্যা। আর এসব বিল্ডিংয়ে চলাচল করতে গেলে লিফটের বিকল্প নেই। উঁচু অট্টালিকার ওপরের দিকে কারো বাসা, কারোবা অফিস। তাই প্রতিদিন অসংখ্য মানুষকে লিফটে চড়তে হবে।
লিফট নিয়ে একটি ভয় কম-বেশি সবাই মনেই কাজ করে। আর তা হলো আটকে পড়ার ভয়। আসলে বৈদ্যুতিক সংযোগে গোলযোগ বা যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে লিফট বন্ধ হয়ে যেতে পারে। হঠাৎ যদি লিফট আটকে যায় তবে কী করবেন? এই প্রতিবেদনে সেই বিষয়ে জেনে নিন-
ভয় পাওয়া চলবে না
ভয় পেলে তার প্রভাব পড়তে পারে শরীরে। দুর্বল হয়ে যেতে পারেন আপনি। তাই ভয় পাওয়া যাবে না। মনে সাহস রাখুন। মনকে বোঝান, প্রযুক্তিগত কারণে লিফট খারাপ হয়েছে। ধৈর্য ও সাহস রাখলে এমন পরিস্থিতি সহজে মোকাবিলা করতে পারবেন।
হাত দিয়ে দরজা খোলার চেষ্টা করবেন না
ভিতর থেকে হাত দিয়ে দরজা খোলার চেষ্টা করবেন না। এভাবে দরজা খোলা যায় না। উল্টো আতঙ্কিত হয়ে পড়তে পারেন। মানসিকভাবেও বিধ্বস্ত হয়ে পড়তে পারেন।
সব বোতাম টিপবেন না
একসঙ্গে লিফটের সব বোতাম টিপতে যাবেন না। এতে পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। নির্দিষ্ট তলার বোতাম টিপে রাখুন। সবার আগে লিফটের অ্যালার্ম বোতামটি টিপুন। লিফটের ভেতর সাধারণত মোবাইল নেটওয়ার্ক কাজ করে না। তবুও মোবাইলে টাওয়ার পেলে কাছের মানুষজনকে কল দিয়ে জানাতে পারেন।
নিরাপত্তারক্ষীকে জানান
বেশিরভাগ লিফটেই বর্তমানে ফোন ইনস্টল করা থাকে। সেটা ব্যবহার করুন। নিরাপত্তারক্ষীকে ফোন করে জানান।
মনে রাখবেন, লিফটে আটকে গেলে মন শান্ত রাখতে হবে। আতঙ্কিত হওয়া যাবে না। কোনোভাবেই লিফটের সুইচ এলোমেলোভাবে টেপা যাবে না।
হঠাৎ যদি লিফট বন্ধ হয়ে যায় এবং সঙ্গে সঙ্গে ভেতরের আলো নিভে যায়, তবে মুঠোফোনের ফ্ল্যাশ লাইটটি অন করে দিন। দরজা খোলার জন্য কোনো বাটন আছে কি না, তা দেখুন।
সাধারণত লিফটে দুই দিকে তির চিহ্ন দেওয়া একটি বাটন থাকে। এই বাটন চাপলে দরজা খুলে যায়। তবে লিফট খুললে আগে দেখুন লিফটটি কোনো তলার সমতলে আছে কি না। তাড়াহুড়া করে ভুলেও বের হতে যাবেন না। সমতলে লিফট না থাকলে সাহায্যের জন্য অপেক্ষা করুন। মনোবল শক্ত রেখে পরিস্থিতি মোকাবেলা করার চেষ্টা করুন।
এনএম