নিশীতা মিতু
১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৪:৪০ পিএম
ডিপ্রেশন বা বিষণ্ণতা বলতে এমন একটি মানসিক পরিস্থিতি বোঝায় যখন একজন ব্যক্তি জীবনের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। এর প্রকারভেদ রয়েছে। একেক জনের ক্ষেত্রে ডিপ্রেশন একেক রকম হতে পারে। লক্ষণের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে একে কয়েকটি ভাগে ভাগ করা যায়।
মেজর ডিপ্রেসিভ ডিসঅর্ডার (এমডিডি) বা গুরুতর ডিপ্রেশন
ডিপ্রেশনের গুরুতর রূপকে মেজর ডিপ্রেসিভ ডিসঅর্ডার বলা হয়। অনিচ্ছা সত্ত্বেও যখন কোনো ব্যক্তি অবিরাম হতাশা, দুঃখবোধ আর মূল্যহীনতায় ভোগেন তখন বলা যায় তিনি ডিপ্রেশনের এই পর্যায়ে রয়েছেন। মেজর ডিপ্রেসিভ ডিসঅর্ডারের কিছু লক্ষণ হলো–
কোনো ব্যক্তি যদি ২ সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ওপরের ৫ বা তার অধিক সমস্যায় ভুগে থাকেন তবে বলা যেতে পারে তিনি মেজর ডিপ্রেসিভ ডিসঅর্ডারে ভুগছেন। এমন পরিস্থিতিতে যত দ্রুত সম্ভব তার চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া দরকার।
পার্সিস্ট্যান্ট ডিপ্রেসিভ ডিসঅর্ডার (পিডিডি) বা স্থায়ী ডিপ্রেশন
ডিপ্রেশনের এই ধরনটিকে ডিস্টিমিয়াও বলা হয়ে থাকে। এর প্রভাব হালকা হয়। তবে এটি বেশি স্থায়ী। পার্সিস্ট্যান্ট ডিপ্রেসিভ ডিসঅর্ডারের কিছু লক্ষণ হলো–
অন্তত দুই বছর ধরে যদি কোনো ব্যক্তি এই সমস্যাগুলোর সম্মুখীন হয়ে থাকেন তবে বলা যেতে পারে তিনি পার্সিস্ট্যান্ট ডিপ্রেসিভ ডিসঅর্ডারে ভুগছেন।
সাইকোটিক বা মানসিক ডিপ্রেশন
ডিপ্রেশনের এই প্রকারটি একটু জটিল। এই ডিপ্রেশনে ভোগা রোগীর মধ্যে যেসব লক্ষণ দেখা দিতে পারে তা হলো–
পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশন বা প্রসব পরবর্তী ডিপ্রেশন
হয়তো ভাবছেন পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশন কী? এই সমস্যায় নারীরা বেশি ভোগেন। সন্তান জন্মদানের পরবর্তী সময়ে নতুন মা যে ডিপ্রেশনে ভোগেন তাকে পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশন বলা হয়। সন্তান জন্ম দেওয়ার পর শূন্যতা অনুভব করা কিংবা দুঃখবোধ হওয়া স্বাভাবিক। বেশিরভাগ নারীর ক্ষেত্রেই এর স্থায়িত্ব হয় কয়েক দিন। কিন্তু এই মন খারাপ যদি দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে স্থায়ী হয় তবে তিনি পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশনে ভুগতে পারেন। এর কিছু লক্ষণ হলো–
সন্তান জন্মদানের পর দেহে হরমোনের পরিবর্তনের কারণেও এই ডিপ্রেশন হতে পারে।
প্রিমেনস্ট্রুয়াল ডিসফোরিক ডিসঅর্ডার বা পিরিয়ড পূর্বকালীন ডিপ্রেশন
পিরিয়ড বা ঋতুস্রাব শুরু হওয়ার আগে নারীরা যে ডিপ্রেশনে ভোগেন তাকে প্রিমেনস্ট্রুয়াল ডিসফোরিক ডিসঅর্ডার বলে। এর কিছু লক্ষণ হলো–
ডিপ্রেশনের ধরন যাই হোক কেন তা সঠিকভাবে জানা উচিত, সঠিক সময়ে চিকিৎসা গ্রহণ করলে এটি সামলে ওঠা যায়।
তথ্যসূত্র: হেলথলাইন ডট কম, ওয়েবএমডি ডট কম
এনএম