লাইফস্টাইল ডেস্ক
১৬ আগস্ট ২০২৩, ০৫:১৬ পিএম
বর্তমানে বিপুল সংখ্যক মানুষ ঘণ্টার পর ঘণ্টা এক জায়গায় বসে কাজ করছে। সঙ্গে চলছে প্রচুর পরিমাণে জাঙ্ক ফুড খাওয়া। স্বাস্থ্যের জন্য এসব অভ্যাস খুব বিপজ্জনক। একটানা দীর্ঘসময় বসে থাকা এবং ভুল খাদ্যাভ্যাসের কারণে বাড়ছে কোলেস্টেরল।
সুস্থ থাকতে উচ্চ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করা খুবই জরুরি। অনেকেই এর জন্য ভরসা রাখেন ওষুধে। জানেন কি, ঘরে থাকা তিন পাতাই কোলেস্টেরল কমাতে এবং ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম। হেলথলাইনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, নিয়মিত এই ৩ পাতা খেলেই ওষুধের মতো কাজ হবে।
কারি পাতা
কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে দারুণ কাজ করে কারি পাতা। হেলথলাইনে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, কারি পাতায় প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে। এটি কোলেস্টেরলের অক্সিডেশন প্রতিরোধ করে। অর্থাৎ, খারাপ কোলেস্টেরল প্রতিরোধে সাহায্য করে। হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় কারি পাতা।
এই পাতার অ্যান্টি-ডায়াবেটিক, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। ডায়াবেটিস রোগীরা নিয়মিত কারি পাতা খেলে উপকার মেলে। এটি ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে। প্রতিদিন ১০-১৫টি কারি পাতা খেলে উপকার পাবেন।
তুলসি পাতা
তুলসী পাতার অনেক ঔষধি গুণ রয়েছে। এই পাতা খেলে অনেক রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তুলসী পাতায় এমন কিছু উপকারি তেল রয়েছে যা শরীরে কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
তুলসী পাতায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম, যার রক্তনালী শিথিল করে এবং শরীরে রক্ত প্রবাহ উন্নত করে। এই পাতা খেলে হৃদরোগের ঝুঁকিও কমে। বহু গবেষণায় বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে।
মেথি পাতা
কোলেস্টেরল ও সুগারের রোগীদের জন্য খুবই উপকারী মেথি পাতা। একাধিক গবেষণা অনুযায়ী, সবুজ মেথিতে উপস্থিত পুষ্টি উপাদান কোলেস্টেরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। মেথি পাতায় আছে স্টেরয়েডাল স্যাপোনিন। এটি শরীরে কোলেস্টেরল শোষণ ও সংশ্লেষণে বাধা দেয়।
মেথি পাতায় থাকা ফাইবার রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করতে পারে। মেথি বীজ ও মেথির গুঁড়োও স্বাস্থ্যের জন্য উপকারি।
এনএম