লাইফস্টাইল ডেস্ক
১৪ আগস্ট ২০২৩, ০২:০৪ পিএম
ব্যস্ততা আমাদের দেয় না অবসর। সকাল থেকে মধ্যরাত— অবিরত কর্মব্যস্ততা চলতেই থাকে। আর এসবের জন্য স্ট্রেস সঙ্গী হয় আমাদের। কেউ কর্মক্ষেত্রে টেনশনের শিকার হন। কারো চিন্তার কারণ পারিবারিক সমস্যা।
আসলে একজন মানুষের ভালো থাকা নিজের ওপর নির্ভর করে। যত দ্রুত এই সত্য উপলব্ধি করতে পারবেন এবং নিজের যত্ন নেওয়া শুরু করবেন, তত তাড়াতাড়ি স্ট্রেস বা টেনশন থেকে মুক্তি পাবেন।

চিকিৎসকদের মতে, আমাদের জীবনে অনেকসময় স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণহীন হতে পারে। আর এই অনিয়ন্ত্রিত স্ট্রেস সহজেই স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। স্ট্রেসের কারণে থাইরয়েড, ডায়াবেটিস, উদ্বেগ, মাইগ্রেন বা আইবিএসের মতো দীর্ঘস্থায়ী রোগ হতে পারে।
স্ট্রেসের সঙ্গে ডায়াবেটিসের সম্পর্ক
ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োটেকনোলজি ইনফরমেশন (NCBI)-এর মতে, ডায়াবেটিসের দীর্ঘস্থায়ী হাইপারগ্লাইসেমিয়ার অবদান রাখে স্ট্রেস। দীর্ঘদিন ধরে মানসিক চাপ চলতে থাকলে বিপাকীয় কার্যকলাপের ওপর বড় বিশেষ প্রভাব ফেলে। আসলে স্ট্রেস আমাদের শরীরে বিভিন্ন হরমোন নিঃসরণকে উদ্দীপিত করে, ফলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে।

স্ট্রেসের সঙ্গে হাই ব্লাড প্রেশার সম্পর্ক
ন্যাশনাল লাইব্রেরি অফ মেডিসিন (NLM)—এর মতে, কর্মক্ষেত্রে চাপ, সম্পর্কের চাপ, আর্থিক বা সামাজিক অবস্থা সাম্প্রতিককালে স্ট্রেসের সঙ্গে সম্পর্কিত। স্ট্রেস রক্তচাপের উপর নির্ভর করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, হাই ব্লাড প্রেশার এমনই এক নিঃশব্দ ঘাতক যে কোনও লক্ষণ ছাড়াই একে একে বিকল করে শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলি। এই তালিকায় রয়েছে হৃৎপিণ্ড, মস্তিষ্ক, কিডনি এমনকি চোখও।
অর্থাৎ সুস্থ ভাবে বাঁচতে স্ট্রেস থেকে দূরে থাকার বিকল্প নেই। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে কীভাবে মানসিক চাপ সামলাবেন। চলুন কিছু উপায় জেনে নিই-

খানিকটা বিরতি নিন
আপনি কি জীবন নিয়ে হাঁপিয়ে উঠেছে। কিছুটা সময় বিরতি নিন। কাজ থেকে ছুটি নিন কদিন। প্রকৃতির কাছাকাছি সময় কাটান। কাজে বিরতি টানলে মন যেমন শান্ত হয়, তেমনি নতুন উদ্যমে কাজ করার শক্তি মেলে।
যা ভালোবাসেন তা করুন
পছন্দের কাজ মানুষকে চাপমুক্ত রাখে। তাই নিজে যা করতে ভালোবাসেন তা করুন। গান গাওয়া, ছবি আঁকা, গল্পের বই পড়ার মতো কাজগুলোতে আনন্দ পেলে তাই করুন।

কাছের মানুষের সঙ্গে সময় কাটান
প্রিয় মানুষদের সঙ্গে কিছুটা সময় কাটিয়ে নিন। তাদের সঙ্গে দেখা করুন, আড্ডা দিন। পর্যাপ্ত সময় না থাকলে ফোন করে খোঁজ নিন। এটি স্ট্রেস থেকে বেরিয়ে আসার দ্রুততম ও সহজ উপায়।
মেডিটেশন করুন
নেতিবাচক চিন্তা দূর করতে চাইলে ইতিবাচক কিছুতে মন দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য মেডিটেশন করতে পারেন। এর ফলে শ্বাস-প্রশ্বাস কর্টিসল বা স্ট্রেস হরমোন হ্রাস করে এবং সুখী হরমোন নিঃসরণ করে তাৎক্ষণিকভাবে আপনাকে সাহায্য করবে। যা উদ্বেগ শান্ত করার দ্রুততম উপায়।
এনএম