শরীরের এই ৫ অংশে মালিশ করলেই কমবে গ্যাস্ট্রিক 

বর্তমানে প্রায় সব ঘরেই দেখা যায় গ্যাস্ট্রিক, অম্বল, বদহজমের সমস্যা। দিনের পর দিন ওষুধ খেয়েও মেলে না সমাধান। কেমন হয় যদি শরীরের নির্দিষ্ট কিছু অংশ ম্যাসাজ বা মালিশ করার মাধ্যমে এই যন্ত্রণা কমানো যায়? 

নির্দিষ্ট অংশ মালিশের মাধ্যমে রোগ সারানোর এই উপায়কে আকুপ্রেশার বলা হয়। বেশ পুরনো একটি প্রক্রিয়া এটি। চলুন তবে জেনে নিই শরীরের কোন অংশগুলো মালিশ করলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কমবে- 

হাঁটুর নিচে

হাঁটুর ঠিক তিন ইঞ্চি নিচের অংশে দুটো আঙুল দিয়ে মালিশ করতে হবে। আকুপ্রেশারের বিদ্যায় শরীরের এই পয়েন্টকে এসটি৩৬ বলা হয়। এই অংশে বৃত্তাকারে দুই আঙুল ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে একটু চাপ দিয়ে ২-৩ মিনিট মালিশ করুন। 

নাভির নিচে

এই অংশটি নাভির দেড় ইঞ্চি নিচে অবস্থিত। এই পয়েন্টকে সিভি৬ বলা হয়। এখানে বেশি চাপ না দিয়ে হালকাভাবে দুই আঙুল দিয়ে মালিশ করুন। 

নাভির উপরে

নাভির চার ইঞ্চি উপরের অংশটিকে বলা হয় সিভি১২। গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কমাতে এখানে ম্যাসাজ করতে হবে। তবে এই অংশটিতে বেশি চাপ দেওয়া যাবে না। মালিশ করতে হবে ২-৩ মিনিট। 

কোমরের উপরে

কোমর থেকে আনুমানিক ৬ ইঞ্চি উপরে রয়েছে এই বিশেষ বিন্দুটি। মেরুদণ্ডের দুই পাশে এই দেড় ইঞ্চি ছেড়ে বিএল২১ পয়েন্টে ম্যাসাজ করতে হবে। এখানে ২ থেকে ৩ মিনিট মালিশ করতে হবে। 

গোড়ালির উপরে

আকুপ্রেশারের ভাষায় এই বিন্দুকে বলা হয় এসপি৬। গোড়ালি থেকে পায়ের পিছন দিকে তিন ইঞ্চি উপরে এই চাপ বিন্দু অবস্থিত। সেখানে একইভাবে দুই আঙ্গুল দিয়ে মালিশ করুন। 

গ্যাস্ট্রিকের যন্ত্রণা কমাতে ওষুধ না খেয়ে এই অংশগুলো ম্যাসাজ করে দেখুন। নিয়মিত এই নিয়ম মানলে উপকার মিলবে। 

হিন্দুস্তান টাইমস অবলম্বনে 

এনএম