লাইফস্টাইল ডেস্ক
১৮ জুলাই ২০২৩, ১২:৪৩ এএম
সুখী সম্পর্কে দুই সঙ্গীরই ভালো থাকা প্রয়োজন। তারা যদি একে অপরের সঙ্গে ভালো থাকেন, তবে সংসারে সুখের অভাব হয় না। কিন্তু একজন সঙ্গীও যদি সেই সম্পর্কে অখুশি হন, নেচিবাচক প্রতিফলন পড়ে সংসারের উপরে। বাড়ির পরিবেশে মন খারাপের কালো রঙ মিশতে শুরু করে। ফলে সুখ-শান্তির ঘড়া খালি হতে শুরু করে। তাই স্বামী-স্ত্রীর দুই জনেরই দুজনের মনের হাল জানা একান্ত প্রয়োজন। নাহলে আপনার অজান্তেই চিড় ধরবে সংসারে।
একজন পুরুষ যদি বৈবাহিক সম্পর্কে অসুখী হন, তবে তার ছোট ছোট কাজেও তা প্রকাশ পায়। মুখে না বললেও বোঝা যায় তার মনোভাব। একটু চোখ-কান খোলা রাখতেই হবে।
এক্ষেত্রে, স্বামীর দিকে একটু বিশেষ নজর রাখুন, দেখুন তো এই ৫ কাজ তিনি করছেন কিনা! যদি এর কোনোটিও চোখে পড়ে, তাহলে মনে কোনও সন্দেহ রাখবেন না যে তিনি এই সম্পর্ক থেকে বের হতে চান।
তিনি কি নির্লিপ্ত হয়ে পড়েছেন?
পুরুষেরা সম্পর্কে অখুশি হলে ধীরে ধীরে চুপ করে যান। সব বিষয়ে মতামত দেওয়াও বন্ধ করে দেন। আপনি কথা বলতে চাইলেও তিনি হয়তো এড়িয়ে যান। এমনকী নিজের জগতেই সারাক্ষণ ব্য়স্ত থাকবেন আপনার স্বামী। সঙ্গীর এই ব্যবহার দেখলে হতাশ হয়ে পড়াই স্বাভাবিক!
আপনার স্বামীকেও এই ধরনের ব্যবহার করতে দেখলে সতর্ক হন। তার সঙ্গে সরাসরি কমিউনিকেট করার চেষ্টা করুন। সমস্যার জায়গাগুলো বুদ্ধি দিয়ে সমাধান করার চেষ্টা করুন। তাতেও কাজ না হলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। মোট কথা হলে হাল ছেড়ে দিলে হবে না। বরং লক্ষণ বুঝে পদক্ষেপ করতে হবে। তবেই না সম্পর্ক আগের মতো সতেজ হয়ে উঠবে।
কাজ ছাড়া অন্য দিকে মন নেই
সম্পর্কের ঝামেলা থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখার জন্যে অনেক পুরুষই কাজ নিয়ে অত্যন্ত ব্যস্ত হয়ে পড়েন। তারা অনেকটা সময় অফিসে কাটাতে পছন্দ করেন। তারা ব্যবহারেই বুঝিয়ে দেন যে, অফিসের কাজ ছাড়া আর অন্য কোনোদিকেই তিনি মন দিতে চান না। সম্পর্কের কোনোরকম অশান্তি তার আর ভালো লাগছে না। এমনকী বিভিন্ন দায়িত্ব থেকেও মুখ ঘুরিয়ে নেওয়ার আগে দুবার ভাবেন না তারা।
আপনার সঙ্গীর মধ্যেও কি এরকম আচরণ দেখতে পাচ্ছেন? তাহলে তাকে এই আচরণের কারণ জিজ্ঞাসা করুন। তার থেকে উত্তর জানতে চান। এই কাজটা করলেই সমস্য়া মেটাতে পারবেন। তাই মন খুলে কথা বলুন। সঙ্গীর মনের খবর পাওয়ার চেষ্টা চালান।
কোনো কিছুই পছন্দ হচ্ছে না
পুরুষেরা সম্পর্কে ভালো না থাকলে সঙ্গীর সব বিষয়ে খুঁত ধরতে শুরু করেন। ছোট ছোট বিষয়েরও সমালোচনা করেন এবং তা নিয়ে অশান্তি শুরু করে দেন। হতাশা এবং বিরক্তি থেকেই এই আচরণ করে থাকেন তারা। হয়তো নিজেদের মনের কথা বোঝানোর স্বার্থেই এমন কাজ করে থাকেন পুরুষেরা। এতে কতটা লাভ হয় জানা নেই, বরং অন্দরমহলের বাতাসে মন খারাপের ঝাঁঝ বাড়তে থাকে। এমনকী স্বামী-স্ত্রীর মানসিক স্বাস্থ্য়ের উপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
তাই নিজের মানসিক শান্তির জন্যে স্বামীর সঙ্গে সরাসরি এই বিষয়ে কথা বলা প্রয়োজন। সঠিক কমিউনিকেশনেই আপনাদের দুজনের বন্ধনকে মজবুত করবে।
উড়ু উড়ু মন
আপনার স্বামী কি সম্প্রতি অন্য নারীর সঙ্গেও 'একটু বেশিই' কথা বলা শুরু করেছেন? এমনকী নিজের মনের কথা বন্ধুদের জানিয়েছেন এবং তাদের থেকে মানসিক সাপোর্টও চাইছেন? এই দুই প্রশ্নের উত্তর যদি 'হ্য়া' হয়, তাহলে সাবধান! সেক্ষেত্রে আজই সতর্ক হন। স্বামীর মধ্য়ে এই ধরনের পরিবর্তন লক্ষ করলে উপযুক্ত পদক্ষেপ নিন।
প্রয়োজনে বন্ধুদের, নয়তো বিশেষজ্ঞের সাহায্য় নিন। কথা বলুন সঙ্গীর সঙ্গে। কোথায় সমস্য়া হচ্ছে, সেটা বুঝে নওয়ার চেষ্টা চালান। মনে রাখবেন, সমস্য়া ঠিক কোথায় হচ্ছে তা না জানলে কিন্তু সমাধানও মিলবে না।
অদ্ভুত ব্যবহার করছেন
আপনার স্বামী হয়তো আপনাকে সরাসরি কিছু বলছেন না, কিন্তু তার ব্যবহারে বেশ কিছু পরিবর্তন চোখে পড়ছে। তিনি বেশিরভাগ সময়েই চুপ করে আছেন। তিনি আপনাকে সরাসরি কোনও মতামত জানাচ্ছেন না। কিন্তু তাঁর অদ্ভুত ব্যবহার বাড়িতে বিষাক্ত পরিবেশ তৈরি করছে।
এরকম কোনও আভাস পেলেই আপনার সতর্ক হওয়া উচিত। আপনার স্বামীর সঙ্গে সরাসরি এই বিষয়ে কথা বলুন। কথা বলার সময়ে খেয়াল রাখবেন যে, আপনার কথায় যেন কোনওভাবেই অভিযোগের সুর না থাকে। তাহলে পরিস্থিতি হিতে বিপরীত হতে পারে!
এজেড