লাইফস্টাইল ডেস্ক
২৫ জুন ২০২৩, ০৫:২৯ পিএম
সামনেই ঈদুল আজহা। কয়েকদিন বেশ গরু আর খাসির মাংস খাওয়া হবে। তবে নানা রোগে ভোগা ব্যক্তিরা মাংস খাওয়া নিয়ে থাকেন চিন্তায়। বিশেষত হৃদরোগ, ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিরা পরিমিত পরিমাণে মাংস খেতে হয়। কে কতটুকু মাংস খেতে পারবেন চলুন জেনে নিই-
এক দিনে কতটুকু মাংস খাওয়া যাবে?
প্রত্যেক মানুষের শরীরের বৈশিষ্ট্য আলাদা। সেই অনুযায়ী খাবারের চাহিদাও ভিন্ন। একজন স্বাভাবিক ওজন ও উচ্চতার প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের ওজন ৭০ কেজি হলে সারা দিনে গুণগত মানভেদে প্রায় ৩০০ গ্রাম মাংস খেতে পারেন।
খাবারে অন্য কোনো প্রোটিনের উৎস থাকলে মাংসের পরিমাণ কমাতে হবে। একবারে না খেয়ে সারা দিনে দুই–তিনবারে ভাগ করে মাংস খেতে হবে। সঙ্গে প্রতিবেলায় পাতে কিছু শাকসবজি বা সালাদ অবশ্যই রাখতে হবে।
কিডনি রোগী
কিডনি রোগীদের ক্ষেত্রে ফার্স্ট ক্লাস প্রোটিনের পরিমাণ কমাতে হয়। তাই কিডনির রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের কম পরিমাণে মাংস খেতে হবে। লাল মাংসে সোডিয়ামের পরিমাণ কিছুটা বেশি থাকে। তাই এই রোগীদের গরু বা খাসি না খেয়ে মুরগির মাংস খাওয়া ভালো।
ঈদ উপলক্ষে যদি গরু বা খাসির মাংস খেতেই হয় তবে তা একবেলার বেশি যেন না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। মাংস কম লবণ দিয়ে রান্না করতে হবে। ঝোলছাড়া খেতে হবে। পাশাপাশি ডাল ও বিচিজাতীয় খাবার (সেকেন্ড ক্লাস প্রোটিন) বা এগুলো দিয়ে তৈরি খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।
হৃদরোগী
হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদেরও গরু ও খাসির মাংস এড়িয়ে চলা উচিত। চামড়া ছাড়া মুরগি বা হাঁসের মাংস খাওয়া যাবে। গরু বা খাসির মাংস খেতে চাইলে মাংসের গায়ে লেগে থাকা চর্বি বাদ দিয়ে কম তেলে রান্না করে খেতে হবে। কাবাব বা ঝোল ছাড়া রান্না করা মাংস হৃদরোগীদের জন্য উপযুক্ত।
উচ্চ রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল
কারও যদি উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকে কিংবা রক্তে কোলেস্টেরল বেশি থাকে তবে উৎসবের দিন মাংস খেতে চাইলে খুব অল্প পরিমাণে খাবেন। মাংসের গায়ের সাদা চর্বি বঁটি বা ছুরি দিয়ে আলাদা করে নিতে হবে। এরপর ওই মাংস রান্না করে ঝোল বাদ দিয়ে খেতে পারবেন।
ডায়াবেটিস
ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মিষ্টি ও মিষ্টিজাতীয় খাবার খেতে নিষেধ করা হয়। এই রোগীদের সরল কার্বোহাইড্রেটের পরিবর্তে জটিল কার্বোহাইড্রেট খেতে বলা হয়। পাশাপাশি তৈলাক্ত ও চর্বিজাতীয় খাবার কম খেতে হবে। কারণ, তেল-চর্বি ক্যালরিবহুল খাবার। তাই ডায়াবেটিস রোগীরা মাংস খেলেও কম পরিমাণে খাবেন।
ইউরিক অ্যাসিড
যাদের রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেশি, তাদের গরুর মাংস না খাওয়াই ভালো। তবে পরিমাণ যদি নিয়ন্ত্রণে থাকে তবে পরিমিত পরিমাণে গরুর মাংস খাওয়া যাবে।
তথ্যসূত্র: মো. ইকবাল হোসেন, জ্যেষ্ঠ পুষ্টি কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল, চট্টগ্রাম
এনএম