images

আইন-আদালত

সম্পাদকসহ দুইজনের বিরুদ্ধে মামলা: প্রতিকারে যাচ্ছে প্রথম আলো

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

৩০ মার্চ ২০২৩, ০৯:৩৮ এএম

একটি সংবাদকে কেন্দ্র করে সম্পাদকসহ দুইজনের বিরুদ্ধে পৃথক দুই মামলায় আইনী প্রতিকার চাইতে আদালতে যাচ্ছে প্রথম আলো। পত্রিকাটির সম্পাদক মতিউর রহমান ও সাভার প্রতিনিধি শামসুজ্জামানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দুটি দায়ের করা হয়।

মামলা দুটিতে মতিউর রহমান ও শামসুজ্জামানকে জামিন করাতে আজ আদালতে যাচ্ছেন তারা।

বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) এ বিষয়টি ঢাকা মেইলকে জানান প্রথম আলোর আইনজীবী প্রশান্ত কুমার কর্মকার। তিনি বলেন, আমরা আজ সকালেই যাচ্ছি সিএমএম আদালতে। এ মামলায় আসামীদের জামিনসহ সব ধরনের আইনী প্রতিকারের প্রস্তুতি নিচ্ছি।

দৈনিক প্রথম আলোর সাভার প্রতিনিধির পর বুধবার (২৯ মার্চ) মধ্যরাতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয় পত্রিকাটির সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে। রাজধানীর রমনা থানায় করা মামলার বাদী আইনজীবী আবদুল মালেক (মশিউর মালেক)।

মামলায় প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক (সাভারে কর্মরত) শামসুজ্জামান, সহযোগী ক্যামেরাম্যান’সহ অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে।

শামসুজ্জামানের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আরও একটি মামলা হয়। তাকে মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) ভোররাতে সাভারের বাসা থেকে সিআইডি সদস্যরা ধরে নিয়ে যায়।

প্রথম আলোতে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্পাদকের বিরুদ্ধে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর বুধবার দিবাগত রাত ১টা ৫৫ মিনিটের দিকে মামলার বাদী আবদুল মালেকের সঙ্গে তাদের কথা হয়েছে। মামলার বাদী নিজেকে হাইকোর্টের আইনজীবী পরিচয় দিয়ে বলেন, ‘মামলাটার আমি এজাহার দায়ের করেছি, হয়েছে (মামলা) কি না, জানি না। 

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রমনা থানার পরিদর্শক আবু আনছারকে।

গত ২৬ মার্চ প্রথম আলো অনলাইনের একটি প্রতিবেদন ফেসবুকে প্রকাশের সময় দিনমজুর জাকির হোসেনের উদ্ধৃতি দিয়ে একটি ‘কার্ড’ তৈরি করা হয়। সেখানে উদ্ধৃতিদাতা হিসেবে দিনমজুর জাকির হোসেনের নাম থাকলেও ভুল করে ছবি দেওয়া হয় একটি শিশুর। 

প্রথম আলো জানিয়েছে, পোস্ট দেওয়ার ১৭ মিনিটের মাথায় অসংগতিটি নজরে আসে এবং দ্রুত তা প্রত্যাহার করা হয়। পাশাপাশি প্রতিবেদন সংশোধন করে সংশোধনীর বিষয়টি উল্লেখসহ পরে আবার অনলাইনে প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদনের কোথাও বলা হয়নি যে উক্তিটি ওই শিশুর; বরং স্পষ্টভাবেই বলা হয়েছে, উক্তিটি দিনমজুর জাকির হোসেনের। ওই প্রতিবেদনের প্রতিবেদক ছিলেন শামসুজ্জামান। তার জেরে এই মামলা হয়।

এআইএম/এমএইচএম