images

আইন-আদালত

সুপ্রিম কোর্ট বার নিয়ে নতুন পদক্ষেপ বিএনপিপন্থীদের

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

২২ মার্চ ২০২৩, ০৯:০৯ পিএম

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের নামে সরকারপন্থীরা পুলিশ দিয়ে প্রহসন করেছে এমন অভিযোগ তুলে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন। এবার তারা এই ইস্যুতে নতুন পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছেন। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক নির্বাচিত নেতৃবৃন্দ ও সদস্যদের এক মতবিনিময় সভায় বলা হয়েছে, গত ১৫ ও ১৬ মার্চ পুলিশ দিয়ে যে সমিতির নির্বাচন করার চেষ্টা হয়েছে তা ব্যর্থ হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট বারের কোনো নির্বাচন ১৫, ১৬ মার্চ অনুষ্ঠিত হয়নি।

আগামী ১ এপ্রিলের আগেই সমিতির সংবিধান অনুযায়ী তলবি সভা করে ১৪ সদস্যের একটি অন্তবর্তী কমিটি গঠন করা হবে। তিন মাসের মধ্যে এই কমিটি সংবিধান অনুযায়ী নতুন ভোটার তালিকা প্রণয়ন করবে। বারের সদস্যদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করা হবে।

এ বিষয়ে সমিতির সাবেক সভাপতিসহ নির্বাচিত নেতৃবৃন্দ ও সিনিয়র সদস্যরা প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তার কাছে ‘ভোট ডাকাতির’ কোনো নির্বাচিত কমিটির নেতৃত্বকে প্রশ্রয় না দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানাবেন।

এছাড়া ১৫, ১৬ মার্চ যেহেতু ভোটের নামে প্রহসন এবং ভোট ডাকাতি হয়েছে সুতরাং এই দিবসটি সুপ্রিম কোর্টের ইতিহাসে কালো দিবস হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত হয়।

বুধবার (২২ মার্চ) সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ১নং হলরুমে সমিতির সদস্যবৃন্দ ব্যানারে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়।

EEE

সমিতির সাবেক সম্পাদক গিয়াস উদ্দীন আহমেদের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য দেন সমিতির সাবেক সভাপতি মো. জয়নাল আবেদীন, সাবেক সম্পাদক মাহবুব উদ্দীন খোকন, মো. রুহুল কুদ্দুস, সাবেক সহ-সভাপতিদের মধ্যে মো. আসাদুল্লাহ, ড. রফিকুল ইসলাম মেহেদী, আবদুল জব্বার ভূইয়া, হুমায়ুন কবির মঞ্জু. সাবেক সহসম্পাদকদের মধ্যে সৈয়দ মামুন মাহবুর, এবিএম রফিকুল হক তালুকাদার। এছাড়া সমিতির সদস্য তৈমূর আলম খন্দকার, মো. আক্তারুজ্জামান, হুমায়ুন কবির মঞ্জু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মতবিনিময় সভায় নেওয়া সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির বর্তমান চলমান ব্যাংক অ্যাকাউন্ট আপাতত স্থগিত করার জন্য সাবেক নির্বাচিত নেতৃবৃন্দের স্বাক্ষরে সোনালী ব্যাংকসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহে চিঠি দেওয়া হবে। অন্তবর্তীকালীন কমিটির সিনিয়র তিনজন সদস্য নতুন অ্যাকাউন্ট পরিচালনা করবেন।

এতে আরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, যেহেতু ১ এপ্রিল ২০২৩ থেকে কোন কমিটি নেই বা থাকবে না, সেহেতু বারের সাবেক সভাপতিসহ নির্বাচিত নেতৃবৃন্দ ও বারের সিনিয়র সদস্যবৃন্দ প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ভোট ডাকাতির কোনো নির্বাচত কমিটির নেতৃত্বকে প্রশ্রয় না দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানাবেন।

এআইএম/জেবি