images

আইন-আদালত

ডেথ রেফারেন্সের রায় বাংলায় দিলেন হাইকোর্ট

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৭:২৯ পিএম

যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগে বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত স্বামী আবদুল্লাহ ওরফে তিতুমীরকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।

সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স খারিজ ও আসামির আপিল মঞ্জুর করে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন। ভাষা শহীদদের প্রতি সম্মান জানিয়ে বাংলা ভাষায় এই এ রায় দেন হাইকোর্ট।

আজ আদালতে আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী সারোয়ার আহমেদ। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হারুন অর রশিদ।

পরে আদালত থেকে বেরিয়ে আইনজীবী সারোয়ার আহমেদ বলেন, আমাদের বক্তব্য হলো-ভিকটিম আত্মহত্যা করেছে। কারণ তাকে দরজা ভেঙে উদ্ধার করা হয়েছে। সাক্ষীদের সাক্ষ্যও পরপস্পর বিরোধী। এ কারণে মামলাটি সন্দেহতীতভাবে প্রমাণিত হয়নি। এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে আদালত আসামিকে খালাস দিয়েছেন। 

তবে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হারুন অর রশিদ এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার কথা জানিয়েছেন।

আসামি আবদুল্লাহ ওরফে তিতুমীর ওরফে তীতু যশোর সদর উপজেলার সুলতানপুর বাবুপাড়া এলাকার আইয়ুব আলীর ছেলে।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০১১ সালে আবদুল্লাহর সঙ্গে যশোর সদর উপজেলার মোবারককাটি গ্রামের কবির হোসেনের মেয়ে সালমা খাতুনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর পালসার মোটরসাইকেল যৌতুক দাবি করে আবদুল্লাহ। দাবি মেটাতে ব্যর্থ হওয়ায় স্ত্রীকে নির্যাতন শুরু করে আবদুল্লাহ। ২০১২ সালের ৯ জুলাই ভোররাতে মারপিটের পর গায়ে কেরোসিন দিয়ে পুড়িয়ে সালমাকে হত্যা করার অভিযোগ এনে সালমার বাবা যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আবদুল মান্নান শেখ ২০১২ সালের ১১ নভেম্বর আবদুল্লাহ ও তার বাবাকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। পরে চার্জ গঠনের সময় বাবাকে বাদ দিয়ে আবদুল্লাহকে অভিযুক্ত করে বিচার শুরু করেন আদালত। বিচার শেষে ২০১৭ সালের ১৭ মে আবদুল্লাহকে মৃত্যুদণ্ড দেন যশোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা জজ) অমিত কুমার দে। এরপর মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে। পাশাপাশি খালাস চেয়ে আপিল করেন আবদুল্লাহ ওরফে তিতুমীর।

এআইএম/জেবি