images

আইন-আদালত

বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ নিয়ে যা বললেন প্রধান বিচারপতি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

০১ ডিসেম্বর ২০২২, ১০:০২ পিএম

প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের পর আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতা ঘোষণার প্রয়োজন নেই। যারা এটা স্বীকার করে না, তারা ৭১ সালেও করেননি ভবিষ্যতেও করবেন না।

বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির শহীদ সফিউর রহমান মিলনায়তনে ‘আইনজীবী আবুল খায়ের রচিত’ তিনটি বইয়ের প্রকাশনা উৎসবে এসব কথা বলেন তিনি।  

বই তিনটি হলো, ‘ইতিহাসে বঙ্গবন্ধু, আদি ভারত বর্ষ থেকে বাংলাদেশ ও কবিতায় প্রিয় বাংলাদেশ।’

প্রধান বিচারপতি বলেন, আমার কাছে যেটা মনে হয় ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনের পর থেকে ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু দেশে ফিরে আসা পর্যন্ত এই সময়টাকে নিয়ে একটা প্যানোরমা সরকার তৈরি করতে পারেন। এই প্যানোরমা থাকবে ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যেখানে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, আর যদি একটা গুলি চলে, আর যদি আমাদের লোকজনকে হত্যা করা হয়, তোমাদের কাছে অনুরোধ রইলো, প্রত্যেক ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোল।

প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, আমরা যারা আইন চর্চার সঙ্গে সম্পর্কিত, আমরা যারা রায় লিখি, তারা অর্ডার পাস করার সময়, কখনো কখনো সব সময় না, যদি সেটা সার্টেন প্রিয়র্ড এটা করা না হয়, তা হলে এই রুলটা স্ট্যান্ড ডিকচার্জ হয়ে যাবে।

বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘আর যদি একটা গুলি চলে, আর যদি আমাদের লোকদের ওপর হত্যা করা হয়, তোমাদের কাছে অনুরোধ রইলো, প্রত্যেক ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোল। আমি মনে করি না তার পরে যখন ফায়ারিং ওপেন হয়েছে, ‘বাই অপারেশন দ্যাট অর্ডার’ অটোমেটিক্যালি স্বাধীনতা ডিক্লিয়ার হয়ে গেছে।’

তিনি বলেন, ‘ফরমালি আর স্বাধীনতা ডিক্লিয়ার করার আর কোনো প্রয়োজন ছিল বলে আমি মনে করি না। এটা যারা বুঝতে চায় না, তারা আর জীবনেও বুঝবে না, তারা ৭১ সালেও বুঝেনি, ভবিষ্যতেও বুঝবে না।’

প্রধান বিচারপতি বলেন, সম্মানিত সুধীমণ্ডলী আপনারা যারা তুরস্কে গেছেন, তারা জানেন সেখানে একটা জায়গা আছে। ওইখানে একটি জায়গা আছে ‘ডেমোক্রেসি অফ ফ্রিডম আইল্যান্ড’ আমার সৌভাগ্য হয়েছিল ওই প্যানারোমাটি দেখার এবং ডেমোক্রেসি অফ ফ্রিডম আইল্যান্ড’ দেখার। এক সময়ের তুরস্কের নেতা মেন্ডিজের বিচার হয়েছে, সেখানে সেটা মনুমেন্টের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
 
লেখককে অভিনন্দন জানিয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, উনার লেখা বইয়ে ইতিহাসের যে প্রকৃত ঘটনার বিবরণ দিয়েছেন, তা পাঠক মননে অপূরণীয় কৌতুহল সঞ্চারিত হবে। তার ‘আদি ভারত বর্ষ থেকে বাংলদেশ’ শীর্ষক গ্রন্থটি ইতিহাস ও গবেষণার নতুন দ্বার উন্মোচন করবে। ছয়শত পৃষ্ঠার এই বইটি লেখা সম্ভব হয়েছে অ্যাডভোকেট আবুল খায়ের এর পরিশ্রম ও সৃজনশীলনতার জন্য।
 
এআইএম/এইউ