images

আইন-আদালত

দুই মামলায় বিএনপির ১৩৯ নেতাকর্মীর আগাম জামিন

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৩:১৩ পিএম

পুলিশ সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় করা দুই মামলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ ও মুন্সিগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব কামরুজ্জামান রতনসহ দলটির ১৩৯ নেতাকর্মীকে আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আজ আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, অ্যাডভোকেট মো. কামাল হোসেন ও অ্যাডভোকেট রোকনুজ্জামান সুজা।

গতকাল মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে এ আবেদন দায়ের করা হয়েছে।

গত ২২ সেপ্টেম্বর মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলায় বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষে ঘটনায় দলটির নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে দুটি পৃথক মামলা হয়। মামলা দুটিতে এক হাজার ৩৬৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে বিএনপির নেতাকর্মী ও অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি আছেন। দুটি মামলায় ২৬ জন কারাগারে। 

পুলিশ জানায়, একটি মামলায় মুন্সিগঞ্জ সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাইনউদ্দিন বাদী হয়ে সরকারি অস্ত্র–গুলি লুট ও মোটরসাইকেল পোড়ানোর অভিযোগে ৩১৩ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় ৭০০ থেকে ৮০০ জনকে আসামি করে মামলা করেন। এ মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে জেলা বিএনপির সদস্যসচিব কামরুজ্জামান রতনকে। মামলায় ২৪ জনকে গ্রেফতার দেখিয়ে এরইমধ্যে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে মুক্তারপুরে শ্রমিক লীগের কার্যালয় ভাঙচুর, ককটেল বিস্ফোরণ ও মারধর করে গুরুতর জখম করার অভিযোগে মামলা করেন মুক্তারপুর বাগবাড়ি এলাকার বাসিন্দা ও শ্রমিকলীগের নেতা আবদুল মালেক। এ মামলায় সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মহিউদ্দিন আহম্মেদকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। মামলায় ৫২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় ১৫০ থেকে ২০০ জনকে আসামি করা হয়। এ মামলায় দুজনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

এর আগে গত ২১ সেপ্টেম্বর বিকেল তিনটার দিকে জ্বালানি তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদ এবং ভোলা ও নারায়ণগঞ্জে বিএনপির তিন নেতাকর্মী হত্যার বিচার দাবিতে মুন্সিগঞ্জ শহরের মুক্তারপুর এলাকায় বিক্ষোভ কর্মসূচি আয়োজন করে জেলা বিএনপি। সেখানে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়।

এআইএম/এমআর