images

আইন-আদালত

যুদ্ধাপরাধ: যশোর ও ময়মনসিংহের ২২ জনের প্রতিবেদন চূড়ান্ত

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

০৩ আগস্ট ২০২২, ০৩:১৮ পিএম

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময়ে সংঘটিত হত্যা, গণহত্যা, নির্যাতন, অগ্নিসংযোগ, লুণ্ঠনসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে পৃথক দুটি মামলায় যশোর ও ময়মনসিংহের ২২ জনের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।

বুধবার (৩ আগস্ট) রাজধানীর ধানমন্ডিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কার্যালয়ে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেন সংস্থাটির প্রধান সানাউল হক। দুটি প্রতিবেদনের একটিতে ১৫ জনকে এবং অন্যটিতে সাতজনকে আসামি করা হয়েছে। শিগগিরই প্রতিবেদন দুটি ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন বরাবর দাখিল করা হবে জানা গেছে।

সংবাদ সম্মেলন তদন্ত সংস্থার প্রধান সানাউল হক বলেন, যশোর জেলার বাঘারপাড়া থানা ও কোতোয়ালি থানার ১৫ জনের বিরুদ্ধে লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, অপহরণ, আটক, ধর্ষণ ও হত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধে তদন্ত সম্পন্ন করা হয়েছে। এ মামলায় জব্দ তালিকার দুইজন সাক্ষীসহ ৩৮ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে। ১৬৩ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন ৩ খণ্ডে সমাপ্ত করা হয়েছে।

মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন ছয় আসামি। তারা হলেন মো. ডা. লুৎফর রহমান (৭১), মো. খয়বার রহমান (৭০), মো. নুরুল ইসলাম ওরফে নুর ইসলাম (৬৮), মো. আবুল হোসেন বিশ্বাস (৬৮), মো, আবু বকর ওরফে আবু বক্কার মোল্লা (৬৯) এবং মো. হোসেন আলী মোল্যা (৭২)। বাকি নয় আসামি পলাতক থাকায় তাদের পরিচয় গোপন রাখা হয়েছে।

আর ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ, নান্দাইল ও কোতোয়ালি থানা এবং নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া শহীদুল্লাহ ফকিরসহ সাত আসামির বিরুদ্ধে তদন্ত সম্পন্ন করা হয়েছে।

এসব আসামিদের বিরুদ্ধে অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, অপহরণ, আটক, নির্যাতন ও হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলায় ৩১ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।

এই মামলাটিতে শহীদুল্লাহসহ গ্রেফতারকৃত বাকি দুই আসামি হলেন- হাবিবুর রহমান ওরফে মেনু মিয়া (৮০), মো. আব্দুল হান্নান ওরফে হান্নান মুন্সি (৭০)। চার আসামি পলাতক রয়েছেন। এ কারণে তাদের পরিচয় প্রকাশ করেনি তদন্ত সংস্থা।

এআইএম/এমআর