জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
৩১ জুলাই ২০২২, ১১:১৯ এএম
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণে হতাহতদের ক্ষতিপূরণ ও বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে করা রিট আবেদনটি হাইকোর্টের কার্যতালিকায় (কজলিস্টে) রয়েছে।
রোববার (৩১ জুলাই) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মুজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানির জন্য দিন ধার্য রয়েছে।
গত ২৯ জুন চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহতদের প্রত্যেক পরিবারকে দুই কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে রিট করা হয়। এতে আহতদের প্রত্যেককে ৫০ লাখ করে টাকা দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব, শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিএম কনটেইনার বিডি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ২০ জনকে এতে বিবাদী করা হয়েছে।
রিট আবেদনে বলা হয়, গত ৪ জুন রাতে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডে অর্ধশত মানুষ নিহত হওয়া ছাড়াও শতাধিক আহত হয়েছেন। অনেকের অবস্থা খুবই খারাপ।
খবরে প্রকাশ স্মার্ট গ্রুপের বিএম কনটেইনার নামক কোম্পানির দাহ্য রাসায়নিক পদার্থ যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে ঘোষণা ছাড়াই মজুদ করার কারণে আগুনে হতাহতের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। ফায়ার সার্ভিসের কাছে মজুদ করা রাসায়নিক পদার্থগুলোর প্রয়োজনীয় তথ্য না থাকায় অনেক উদ্ধারকর্মী নিহত এবং আহত হয়েছেন।
রিটে কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিদের সমন্বয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ এবং তাদের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় ক্ষতিপূরণ আদায়ের কথাও বলা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, সংবিধানের ৩২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জীবনের অধিকার একটি মৌলিক অধিকার। ফলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩২ সরাসরি লঙ্ঘন করেছেন। এজন্য রিট পিটিশনে নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে দুই কোটি টাকা এবং আহত প্রত্যেককে ৫০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে আহতদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা বিনামূল্যে দেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৪ জুন চট্টগ্রাম শহর থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে সীতাকুণ্ডের কদমরসুল এলাকায় বিএম কনটেইনার ডিপোতে প্রথমে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। পরে আগুন লাগার ঘণ্টাখানেকের মধ্যে ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণ ঘটলে বহু প্রাণহানি ঘটে। সেই সঙ্গে অসংখ্য মানুষ আহত হন।
এআইএম/এমআর