images

আইন-আদালত

মোবাইল-পাসপোর্ট-ল্যাপটপ ফেরত পেতে ফের আদালতে মেঘনা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

২৯ জুলাই ২০২৫, ০২:১৫ পিএম

বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে অর্থ আদায়ের অভিযোগে করা মামলায় জব্দ থাকা পাসপোর্ট, মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ ফেরত পেতে ফের আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন মেঘনা আলম।

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সকালে ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এসে এই আবেদন করেন তিনি। 

শুনানির সময় আদালতে মেঘনা আলম বলেন, ‘বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আমার প্রফেশনাল সম্পর্ক। আমাকেই ফাঁদে ফেলেছিল সৌদি রাষ্ট্রদূত। দৈনন্দিন জীবনযাপনের জন্য জব্দ করা সরঞ্জামগুলো আমার প্রয়োজন।

তবে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা আদালতকে জানান, মামলার তদন্ত এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। জব্দ করা মোবাইল ও ল্যাপটপ ফেরত দিলে তদন্তে বিঘ্ন ঘটবে। তারা জানান, শুধু সৌদি রাষ্ট্রদূত নয়, অন্য আরও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আদায়ের অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

পরে শুনানি শেষে আদালত আগামী ৩১ আগস্ট মামলার ফরেনসিক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

এর আগে, গত ৯ এপ্রিল মেঘনা আলমকে রাজধানীর ধানমন্ডির বাসা থেকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পরদিন ১০ এপ্রিল তাকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৩০ দিনের জন্য কারাগারে পাঠানো হয়। পরে ১৭ এপ্রিল তাকে আদালতে হাজির করে চাঁদাবাজি ও প্রতারণার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

মামলার বাদী ধানমন্ডি থানার পরিদর্শক মোহাম্মদ আবদুল আলিম ১৫ এপ্রিল এজাহার দায়ের করেন। অভিযোগে বলা হয়, অভিযুক্ত ব্যক্তিরা একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য, যারা সুন্দরী নারীদের মাধ্যমে বিদেশি কূটনীতিক ও ধনী ব্যবসায়ীদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তুলে ব্ল্যাকমেল করে অর্থ আদায় করতেন।

এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, গত ২৯ মার্চ ধানমন্ডির একটি জাপানি রেস্টুরেন্টে এক কূটনীতিকের কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা আদায়ের পরিকল্পনায় বৈঠক করেন তারা।

এআইএম/ইএ