নিজস্ব প্রতিবেদক
০২ জুলাই ২০২৫, ০৫:১২ পিএম
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কর্মকর্তা পরিচয়ে প্রতারণা ও চাঁদাবাজির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ অভিযোগের মামলায় প্রতারক চক্রের পাঁচ সদস্যের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (২ জুলাই) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক ইসরাত জেনিফার জেরিন এই আদেশ দেন।
কারাগারে যাওয়া আসামিরা হলেন- সেলিম (৪০), মো. তরিকুল ইসলাম (৪০), মো. আতিক (৩৮), মো. আবদুল হাই সোহাগ (৩৫) ও মো. সোহাগ পাটোয়ারী (৪০)।
দুই দিনের রিমান্ড শেষে এদিন আসামিদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।
অপর দিকে আসামিদের আইনজীবী তাদের জামিন চেয়ে আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক আসামিদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে ৩০ জুন তাদের ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাদের সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রমনা মডেল থানার উপপরিদর্শক মো. মাসুদ রানা। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুজ্জামান তাদের দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ২৪ জুন দুদক কর্মকর্তা পরিচয়ে ঘুষ চাওয়া নিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ যে ভিডিও ক্লিপ সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ করেছিলেন, সে বিষয়ে অনুসন্ধানে নেমে গত ২৮ জুন ঢাকার মুগদা এলাকায় অভিযান চালিয়ে একটি চক্রের চারজনকে গ্রেফতার করে দুদক। অন্যান্য আসামিদের তথ্যের ভিত্তিতে র্যাবের সহযোগিতায় আসামি সোহাগ পাটোয়ারীকে আটক করে পুলিশকে হস্তান্তর করা হয়।
গ্রেফতারের সময় আসামিদের কাছ থেকে একটি সনি ডিজিটাল এইচডি ক্যামেরা, বুম, সেলফি স্টিক, দুটি পাসপোর্ট, সমকাল পত্রিকার নামে আইডি কার্ড, সমকাল, এশিয়ান টিভি ও এফসি টিভির ভিজিটিং কার্ড, সোনালী ব্যাংকের চেক বই, ছয়টি মোবাইল সেট ও ১৩টি সিমকার্ড জব্দ করা হয়।
এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে দুদকের সহকারী পরিচালক সাজ্জাদ হোসেন রমনা থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গ্রেফতার ব্যক্তিরা দুদকের চেয়ারম্যান ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার পরিচয় দিয়ে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার কথা বলে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছিল।
এএইচ