images

আইন-আদালত

হাসিনার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে ৮৭৪৭ পৃষ্ঠার অভিযোগ, সাক্ষী ৮১

নিজস্ব প্রতিবেদক

০১ জুন ২০২৫, ০২:২৬ পিএম

গত জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নির্দেশদাতা উল্লেখ করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়েছে। আনুষ্ঠানিক অভিযোগপত্র ১৩৫ পৃষ্ঠার এবং অভিযোগ প্রমাণে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত, দালিলিক প্রমাণসহ ভিডিও অডিও কলের বিস্তারিত উল্লেখ করে মোট আট হাজার ৭৪৭ পৃষ্ঠার অভিযোগপত্র ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা হয়েছে। সাক্ষী করা হয়েছে ৮১ জনকে।

মামলায় অভিযুক্ত অন্যরা হলেন, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।

আরও পড়ুন

পদত্যাগ করতে শেখ হাসিনার পায়ে ধরেছিলেন রেহানা!

হাসিনাকে বাদ দিয়ে ‘রিফাইন্ড’ আওয়ামী লীগ গড়ার তোড়জোড়!

রোববার (১ জুন) দুপুর সোয়া ১২টার দিকে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দাখিলের শুনানি শুরু হলে তা সরাসরি সম্প্রচার করে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন বিটিভি।

এর আগে গত ১২ মে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তারা।

Julay

ওই দিন ব্রিফিংয়ে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে নির্বিচারে এক হাজার ৪০০ এর বেশি মানুষ হত্যার দায় শেখ হাসিনার।

তিন আসামির বিরুদ্ধে নির্বিচারে হত্যার নির্দেশনা, প্ররোচনা, উসকানিসহ পাঁচ অভিযোগের প্রমাণ মিলেছে বলে জানিয়েছেন, চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম।

আরও পড়ুন

হাসিনা-কাদেরসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে গণহত্যার প্রমাণ মিলেছে: চিফ প্রসিকিউটর

শেখ হাসিনার শাসনকালের শেষ ৫ বছরে হত্যাকাণ্ড ১৬ হাজারের বেশি

তাজুল বলেন, এ বিচার কোনো অতীতের প্রতিশোধ নয় বরং ভবিষ্যতের জন্য একটি প্রতিজ্ঞা যে, ভবিষ্যতে মানবতাবিরোধী অপরাধ থাকবে না।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার ওপর গুলি, হত্যার নির্দেশদাতা ও পরিকল্পনাকারী হিসেবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার চলছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলন ঠেকাতে আওয়ামী লীগ সরকার নির্বিচারে হত্যা চালায়। প্রায় দেড় হাজার মানুষ প্রাণ হারায় এই আন্দোলনে। আহত হন প্রায় ৩০ হাজার মানুষ, যাদের অনেকেই পঙ্গুত্ব নিয়ে বেঁচে আছেন।

জেবি