নিজস্ব প্রতিবেদক
২৫ মে ২০২৫, ০৩:৫৮ পিএম
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র হিসেবে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের শপথ পড়ানো নিয়ে উচ্চ আদালতে পাল্টাপাল্টি চলছে। একদিকে ইশরাক হোসেন শপথ পড়ানোর আবেদন জানিয়ে হাইকোর্টে রিট করেছেন। অন্যদিকে শপথ না পড়ানোর আবেদন জানিয়ে করা রিট বাতিল হয়ে যাওয়ার বিরুদ্ধে চেম্বার আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন বাদী।
রোববার (২৫ মে) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ইশরাক হোসেনের পক্ষে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন রিটটি করেন। একই দিন শপথ ইস্যুতে রিট খারিজের আদেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালতে আবেদন করেন রিটকারী জনৈক মামুনুর রশিদ।
গত ২২ মে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র হিসেবে ইশরাক হোসেনকে শপথ না পড়ানোর নির্দেশনা চেয়ে করা রিট হাইকোর্টের বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী ও দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ খারিজ করে দেন।
এর আগে গত ১৪ মে বিএনপির এই নেতাকে শপথ না পড়ানোর নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বাসিন্দা মো. মামুনুর রশিদ। আবেদনকারীর আইনজীবী ছিলেন কাজী আকবর আলী।
২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন হয়। এতে মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপস। ২ ফেব্রুয়ারি ভোটের ফলের গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। এরপর শপথ নিয়ে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন তিনি। সেই নির্বাচনে ঢাকা দক্ষিণের মেয়র পদে তাপস পেয়েছিলেন সোয়া চার লাখ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির ইশরাক হোসেন পান দুই লাখ ৩৬ হাজার ভোট। নির্বাচনে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ফল বাতিল চেয়ে ২০২০ সালের ৩ মার্চ মামলা করেন ইশরাক।
গত ২৭ মার্চ ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করেন ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনি ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম। ট্রাইব্যুনালের রায়ের অনুলিপি পেয়ে গত ২২ এপ্রিল গেজেট প্রকাশের বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ চায় সাংবিধানিক সংস্থাটি। এরপর ২৭ এপ্রিল ইশরাক হোসেনকে ডিএসসিসির নতুন মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
তবে আইনি জটিলতা দেখিয়ে ইশরাক হোসেনকে শপথ পড়ানোর ব্যবস্থা নেয়নি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। এই ইস্যুতে বিএনপির সঙ্গে সরকারের দূরত্ব বাড়ে। এই ইস্যুতে ‘আমরা ঢাকাবাসী’র ব্যানারে টানা কয়েক দিন আন্দোলনও চলে।
জেবি