নিজস্ব প্রতিবেদক
১৬ মার্চ ২০২৫, ১১:২১ এএম
বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের রায় ঘোষণা শুরু হয়েছে। রোববার (১৬ মার্চ) সকাল ১১টায় বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান এবং বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এ রায় ঘোষণা করা হয়। বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান রায় পাঠ করছেন।
এর আগের শুনানিতে, অর্থাৎ ২৪ ফেব্রুয়ারি মামলার আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শেষ হয়। এরপর ১০ ফেব্রুয়ারি এই মামলার শুনানি শুরু হয়। গত বছরের অক্টোবর মাসে আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের আপিল ও ডেথ রেফারেন্স দ্রুত শুনানির উদ্যোগ নেওয়া হয়, যার জন্য অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বিশেষ ভূমিকা নেন।
২০২২ সালের ৬ জানুয়ারি আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ২০ আসামির মৃত্যুদণ্ডের অনুমোদন দিয়ে মামলার নথি হাইকোর্টে পাঠানো হয়। এতে ৬ হাজার ৬২৭ পৃষ্ঠার ডেথ রেফারেন্স ও মামলার যাবতীয় নথি হাইকোর্টে পৌঁছায়। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা নিজেদের দণ্ড থেকে খালাস চেয়ে ফৌজদারি আপিল ও জেল আপিল করেন।
২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর আবরার ফাহাদ হত্যার বিচারকাজ শেষ হয় এবং ২০ আসামির মৃত্যুদণ্ড ও ৫ আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে রয়েছেন—বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল, সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকার অপু, সাহিত্য সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির, ক্রীড়া সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম জিয়নসহ আরো অনেকে।
এছাড়া, ৫ জন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়, যাদের মধ্যে বুয়েট ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মুহতাসিম ফুয়াদ, গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক ইসতিয়াক আহমেদ মুন্না, আইনবিষয়ক উপসম্পাদক অমিত সাহা এবং সদস্য আকাশ হোসেন ও মোয়াজ আবু হোরায়রা রয়েছেন।
এ মামলার পটভূমি অনুযায়ী, ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শের-ই-বাংলা হলে আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। পরদিন আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ চকবাজার থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মাত্র ৩৭ দিনের মধ্যে তদন্ত শেষে ১৩ নভেম্বর চার্জশিট দাখিল করা হয়।
এইউ