নিজস্ব প্রতিবেদক
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪:০৮ পিএম
সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক দাবি করেছেন, তিনি বর্তমানে কারাগারে মানবেতর অবস্থায় আছেন এবং অর্থ সংকটে জর্জরিত। কারাগারে অন্য বন্দিদের সঙ্গে রুটি ও কলা ভাগ করে খেতে হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থানের সময় ধানমন্ডি থানায় দায়ের করা এক মামলায় গ্রেফতার হওয়া পলককে আজ কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। তাকে হেলমেট, হাতকড়া এবং বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরিয়ে আদালতে আনা হয়।
সকাল ১১টার দিকে তাকে আদালতে আনা হলে, বিচারক এজলাসে ১১টা ৬ মিনিটে উপস্থিত হন। এর মধ্যে পলক সাংবাদিকদের উদ্দেশে কিছু কথা বলেন। অন্যান্য কয়েদিদের সঙ্গে হেঁটে আসার সময়ও তিনি কিছু কথা বলেন।
পলক তার আইনজীবী এবং সাংবাদিকদের জানান, ‘চিড়া মুড়ি খাওয়ার মতোও টাকা নেই। কারাগারে সুমনের (ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন) সঙ্গে রুটি কলা ভাগ করে খাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘জেলখানার জীবন এক কঠিন শিক্ষা। আমি মনে করি, সবার কমপক্ষে সাত দিন জেলে থাকা উচিত। যদি কখনো বের হতে পারি, আমি এই কথা বলব।‘ এই সময়ে পুলিশ তাকে কথা বলতে নিষেধ করলেও, পলক বলেন, ‘আমি কোনো বেআইনি কথা বলছি না।’
পলক অভিযোগ করেন, আদালতে কথা বললেই তার রিমান্ড বাড়িয়ে দেওয়া হয়। তিনি বলেন, ‘কথা বললেই রিমান্ড বাড়িয়ে দেয়। আইনজীবীরা কথা বললেই রিমান্ড বাড়ানো হয়।’
এ সময় তিনি মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুকের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেন এবং সালাম দেন। প্রথমে সাড়া না পেলেও, পরবর্তীতে পিপি তার সালামের উত্তর দেন। তখন পলক মন্তব্য করেন, ‘যাক, এইবার পিপি স্যারের মন নরম হয়েছে।’
পলক তার আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলার সময় সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমাদের নিয়ে লেখার সময় একটু সদয় হবেন।’
শুনানি শেষে, ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম এ আজহারুল ইসলাম ধানমন্ডি থানার মামলায় পলককে গ্রেফতার দেখানোর নির্দেশ দেন। পরে তাকে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের গারদখানায় পাঠানো হয়।
এইউ