images

আইন-আদালত

‘ন্যায়বিচার পেয়েছি, আমরা সন্তুষ্ট’

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:১৭ এএম

images

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালাস পেয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমানসহ সব অভিযুক্ত। আপিল বিভাগে হাইকোর্ট ও বিচারিক আদালতের রায় বাতিল হওয়ার প্রতিক্রিয়ায় সিনিয়র আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বলেছেন, ‘ন্যায়বিচার পেয়েছি, আমরা সন্তুষ্ট।’

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সকালে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চ রায় ঘোষণা করেন। রায়ের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জয়নুল আবেদীন এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, “আজকে মনে হলো বিচার বিভাগ স্বাধীন হয়েছে, আমরা ন্যায্য বিচার পেয়েছি।” তিনি আরও বলেন, “দীর্ঘদিন পর আদালত আজ বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে মুক্ত করে দিলেন, আমরা সবাই খুশি।”

এ সময় সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, “আপনারা দীর্ঘ ১৬ বছর অনেক কষ্ট করেছেন।”

রায় ঘোষণার পর তার বক্তব্যের শুরুতে তিনি সাংবাদিকদের সালাম দেন এবং বলেন, “আজকের সকাল বেলার সূর্যের আলোটা আমাদের সবাইকে আলোকিত করেছে। এই সূর্যের আলোর জন্য আমরা দীর্ঘদিন অপেক্ষা করেছিলাম।’’ তিনি বলেন, “আপনারা জানেন, বাংলাদেশের গণমানুষের আপসহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং জিয়া পরিবারকে ধ্বংস করার জন্য ফ্যাসিস্ট সরকার দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছিল।”

জয়নুল আবেদীন আরও বলেন, “আল্লাহর রহমতে ফ্যাসিস্টরা শেষ পর্যন্ত আন্দোলনের মুখে পালিয়ে গেছে। পালানোর কারণ হলো, তারা দেশটাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছিল।”

তিনি আরও বলেন, “আজকের রায়ে আপনারা জানেন যে, সাজা দেওয়ার কোনো সারমর্ম ছিল না, উপাদান ছিল না। যে মামলায় আদালতে খালেদা জিয়াকে সাজা দিয়ে একটি অন্ধকার কূপে ফেলে দেওয়া হয়েছিল, পরে তাকে স্ট্রেচারে করে পিজি হাসপাতালে আনা হয়েছিল। এর মানে হলো, সরকার তাকে অসুস্থ করে, দমন-পীড়ন চালিয়ে পিজি হাসপাতালে আনতে চেয়েছিল।”

জয়নুল আবেদীন আরও বলেন, “এ মামলার মধ্যে কিছুই ছিল না। হাইকোর্ট বিভাগের রায়ে ১০ বছরের সাজা বাতিল করা অত্যন্ত দুঃখজনক। তখন বিচার বিভাগের কোনো স্বাধীনতা ছিল না, ফ্যাসিস্ট সরকার যেভাবে চাইত, সেভাবেই রায় হতো। কিন্তু আজকে মনে হলো, বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালন করেছে।”

এদিকে আপিল বিভাগের রায়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। তিনি বলেন, রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। আলহামদুলিল্লাহ। 

এআইএম/এইউ