জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
১৮ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৫১ এএম
আগামী ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে জুলাই-আগস্টের গণহত্যার তদন্ত প্রতিবেদন জমার নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনালে শুনানি পর এই নির্দেশ দেন।
হাসিনার বিরুদ্ধে করা মামলার শুনানির সময় চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, জুলাই-আগস্টের গণহত্যাটি বিস্তৃত একটি বিষয়। সারাদেশে এই গণহত্যা সংগঠিত হয়েছে। ফলে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করতে আমাদের দুই মাস সময় লাগবে। পরে আদালত এক মাসের সময় দেন।
আজ কার্যতালিকায় ছিল শেখ হাসিনার মামলা। এছাড়া ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৫ জনের মামলাও ছিল আজকের কার্যতালিকায়।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। এরপর সেদিনই প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। তার বিরুদ্ধে ঢাকার আদালতে প্রথম মামলা হয় ১৫ আগস্ট। এরপর থেকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন আদালত ও থানায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে হত্যা, হত্যাচেষ্টা ও অপহরণের অভিযোগে দেড় শতাধিক মামলা হয়। শেখ হাসিনা ছাড়াও তার সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রী, আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য, দলটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে হত্যা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা হয়।
জুলাই-আগস্টে সারাদেশে সংঘটিত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা ও প্রসিকিউশন অফিসে অর্ধশতাধিক অভিযোগ জমা পড়ে।
গত ১৭ অক্টোবর শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়।
গত ২৭ অক্টোবর ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনকে ট্রাইব্যুনালে হাজিরের নির্দেশ দেন। রাষ্ট্রপক্ষের পৃথক দুটি আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত এ আদেশ দেন। আজ দুই মামলার পৃথক শুনানি হয়। এক মধ্যে একটি মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে শুনানি হয়।
অন্য মামলায় শুনানির জন্য গ্রেফতার হওয়া সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ ১৩ জনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের শুনানি শুরু হয়।
শুনানিতে চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম বলেন, গত ১৫ বছরে শাসনামলে এমন কোনো মানবতাবিরোধী অপরাধ নেই যেটা শেখ হাসিনা করেননি। আর উপস্থিত এই আসামিরা এসব অপরাধ সংগঠনে সহযোগিতা করে গেছেন।
এআইএম/এমআর