জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
১৮ আগস্ট ২০২৪, ০২:৫৩ পিএম
ক্ষমতা ধরে রাখতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা নিরীহ মানুষকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কাঁচামাল বানিয়েছে বলে রাজধানীতে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এমন মন্তব্য করেছেন বক্তারা।
রোববার (১৮ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৯টায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এমন মন্তব্য করেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়-স্বজনরা। এতে তিন শতাধিক মানুষ অংশ নেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, শেখ হাসিনা তার স্বৈরশাসনকে দীর্ঘায়িত করতে বিরোধীদলের নেতাদের ফাঁসি দিয়ে নিরীহ মানুষকে এই ট্রাইব্যুনালের কাঁচামাল বানিয়েছে।
মানববন্ধনে আব্দুল আজিজের স্ত্রী বলেন, ‘আমার স্বামী একজন মুক্তিযোদ্ধা। অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা। তিনি ব্যাংকে চাকরি করতেন। শত্রুতা করে তাকে ধরে এনে রাজাকার বানানো হয়েছে। চক্রান্ত করে আমার স্বামী ও দেবরকে রাজাকার বানানো হয়েছে।’
স্বামী ও দেবরের মুক্তিযোদ্ধার সনদ দেখিয়ে আব্দুল আজিজের স্ত্রী বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আমার স্বামী ও দেবরের গেজেট নম্বর আছে। তারা ভাতা পেতেন। তাদেরকে ধরে নির্যাতন করা হয়েছে। আমার স্বামী খুবই অসুস্থ। আমরা পারিবারিকভাবে খুবই ক্ষতিগ্রস্ত। আমরা ন্যায়বিচার চাই। স্বামী ও দেবরের মুক্তি চাই।
যুদ্ধাপরাধ মামলায় আটক মধু মিয়া নামে একজনের স্বজন বলেন, যুদ্ধের সময় মধু মিয়ার বয়স ছিল ৭ বছর। একটি কুচক্রী মহল তাকে ধরে এনে রাজাকার বানিয়েছে। আওয়ামী লীগের নেতাদের অভিযোগে তাকে ধরে এনে মানবতাবিরোধী অপরাধের মিথ্যা মামলায় বছরের পর বছর কারাগারে রাখা হয়েছে। যারা তাকে ধরে এনে মিথ্যা মামলা দিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানাচ্ছি। আমরা তার নিঃশর্ত মুক্তি চাই।

শেখ হাসিনা সরকারের ১৬ বছরের কর্তৃত্ববাদী শাসনামলে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় কারাগারে থাকা আসামিদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে ভুক্তভোগী আসামিদের পরিবারের সদস্যরা। তারা অবিলম্বে মানবতাবিরোধী মামলা প্রত্যাহার করে কারাবন্দি সবার মুক্তি দাবি করেন।
মানববন্ধন শেষে আইন উপদেষ্টা বরাবর আসামিদের মুক্তির দাবিতে স্মারকলিপি পেশ করা হয়।
এআইএম/এমআর